'রিয়্যালিটি শো' -এর ভালো-খারপ দিক নিয়ে যা বললেন তৃষা
কেকে'র চলে যাওয়া
মেনে নিতে পারছি না, মেনে নেওয়া অসম্ভব। কতটা ভালো মানুষ ছিলেন যাঁরা কাছ থেকে কেকেজি'কে দেখেছেন তাঁরাই জানেন। আর সবচেয়ে বড় কথা ওঁনার গান তো সারাজীবনের গান। ভোলা কখনও যাবে না। আমার সৌভাগ্য একটি রিয়্যালিটি শো-তে কেকেজি'র সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল আমার।
বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খুব দ্রুত মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনো সম্ভব। সেই কারণে আমি আমার ইউটিউব চ্যানেল লঞ্চ করেছি। মূলত ডিভোশনাল গানই রেখেছি। কারণ, এই গান শুনে কত মানুষ তাঁদের দুঃখ ভোলার কথা জানিয়েছেন। ভালবেসে নিজের করেছেন। এর থেকে বড় পাওনা তো আর হতে পারে না। তাই মানুষ আমার গান শুনে নিজেদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছেন -এটাই বিশাল প্রাপ্তি।
আমার খুব তাড়াতাড়ি একটি নতুন গান আসছে। গানের নাম - 'স্মৃতি মুছে তুলে রাখা'। গানটি লিখেছেন অজয় ভট্টাচার্য, আর কম্পোজ করেছেন অরুণাশিষ রায়। এছাড়া ছোটপর্দার জন্য গান রেকর্ডিংয়ের কয়েকটি অফার রয়েছে। আর আমার নিজের ইউটিউব চ্যালেনের জন্য রেকর্ডিং করতেই হয়।
আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: 'মাঠেই আছি'! আইপিএল জেতার পর EXCLUSIVE ঋদ্ধিমান সাহা
খুব তাড়াতাড়ি একটি রিয়্যাটিলি শো আসছে
হ্যাঁ, নতুন কনসেপ্টে আসছে। খুব ভালো। আরও অনেক ছেলে-মেয়ে পার্টিসিপেট করবে। নতুন দিগন্ত একটা।
রিয়্যাটিলি শো-এর ভালো দিক
সবচেয়ে বড় কথা ভীষণ রকম পরিচিতি দেয়। অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যায়। নতুন কিছু শেখা যায়। টাইট সেডিউলের মধ্য়ে নিজেকে তৈরি হতে শেখায়। জীবনে গানকে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম এটা।
রিয়্যাটিলি শো শেষ কথা হতে পারে না। তারপর থেকে জীবনটা একেবারে অন্যরকম শুরু। মাটিতে পা রেখে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ভীষণ দরকার। জেতা মানে অনেক কিছু, হারা মানেই সব শেষ-এমনটা নয়। ভেঙে না পড়ে যা কিছু শিখলাম সেটা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ধৈর্য্য রাখাটা ভীষণ জরুরী।
রিয়্যাটিলি শো-এ অংশ নিতে কী প্রয়োজন
গান শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গান শুনে নিজেকে সেগুলো শিখে নিতে হবে। নিজের শেখার চেষ্টা থাকাটা ভীষণ জরুরী। অনেক সময় অন স্পট গাইতে হয়, তাই নিজেকে তৈরি রাখা দরকার। যদিও এখন ফর্ম্যাট পাল্টেছে, তাও নিজেকে তৈরি রাখাটা খুবই প্রয়োজন।