দেশ তথা বাংলার নাট্যসমাজের মুখ উৎপল দত্ত। তাঁর অগাধ প্রতিভার বর্ণনা শেষ হওয়ার নয়। একদিকে তিনি নাট্যকার, পরিচালক, অন্যদিকে তিনি অভিনেতা। প্রথাগত খলনায়ক থেকে কৌতুক, সব ধরনের চরিত্রকেই তিনি আলাদা মাত্র দিতেন। নিজেকে তিনি 'প্রপাগান্ডিস্ট' বলে পরিচয় দিতেন। উৎপল দত্তের লেখা মৌলিক পূর্ণাঙ্গ ও একাঙ্ক নাটক, অনুবাদ নাট্য, যাত্রাপালা ও পথনাটকের সংখ্যা শতাধিক। লিখতেন ছোটগল্প, কবিতাও। আশ্চর্য, তুলনাহীন ব্যক্তিত্বের অধিকারী উৎপল দত্ত ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন মজার মানুষ। নাটকের গ্রিনরুমে, শ্যুটিং ফ্লোরে বুদ্ধিদীপ্ত মজার কথায় সব জমিয়ে রাখতেন। একবার এক সেমিনারে সবাই নিরামিষ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বহু কিছু বলার পর উৎপল দত্তর ডাক পড়তে বলেন,"নিরামিষ খাবারের উপকারিতা নিয়ে অনেক কিছু শুনলাম, জানলাম, বুঝলামও। সেসব নিয়ে আমার কিচ্ছু বলার নেই। অতো জ্ঞানও নেই। আমার শুধু একটাই কথা,শুধু যদি শাক-পাতাই খাবো তাহলে গাছ থেকে নামলাম কেন?"
এমনই মজার মানুষ ছিলেন উৎপল দত্ত। তাঁর সহপাঠী অধ্যাপক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'উৎপলকে প্রথম দিন স্কুলে দেখে মনে হয়েছিল “গ্যালিভার”-এর পাতা থেকে যেন এক অতিমানব এসেছে স্কুলে!' উৎপল দত্তও আরও অনেক কিছুর সঙ্গে বাংলা ভাষাকে প্রচুর অপ্রচলিত শব্দ উপহার দিয়ে গেছেন। তবে প্রচলন হয়নি। এই সময় সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক লেখায় স্টোরিটির লেখক শুভাশিস মৈত্র লিখেছিলেন, "হ্যাঁ, বাংলাতেই লেখা, কিন্তু এই বাংলার একটা বড় অংশ আজ আমাদের অচেনা। এমন ভাষা অবশ্য তীতুমীর সহ অন্য আরও নাটকে উৎপল দত্ত ব্যবহার করেছেন।