করোনার সঙ্গে ক্যান্সারের কোনও যোগাযোগ আছে? গবেষণায় কি উঠে এলো জানুন
সারা বিশ্বে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, যে যেসব রোগীদের ব্লাড প্রেসার, সুগার ইত্যাদি আগে থেকেই ছিল তাদের মধ্যে কোভিড সংক্রমনের প্রবণতা এবং কোভিডের কারণে মৃত্যুর হার বেশি। সেই অনুপাতে এটাও ধরে নেওয়া যেত যে যেসব রোগীর অ্যাক্টিভ ম্যালিগনেন্সি বা কর্কট রোগের প্রকোপ বাস্তবিক রয়েছে তাঁদের মধ্যেও কোভিড জনিত কারণে মৃত্যুর হার বেশি হতে পারে।
কলকাতায় এ ধরনের গবেষণা এর আগে হয়নি। তাই এই গবেষণাটি করা হয় ক্যান্সার এবং কোভিডের সম্পর্ক অনুধাবনের জন্য। 1,565 জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন থার্মাল স্ক্রিনিং এবং স্ক্রিনিং ফর্ম ফিলাপ করার পর। প্রত্যেকের Covid-19 আছে কি না সেটা দেখা হয়েছিল RTPCR করে এবং যাঁরা পজিটিভ ছিলেন তাঁদেরকে সরকার অনুমোদিত কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। যাঁরা নেগেটিভ ছিলেন তাঁদেরকে জেনারেল ওয়ার্ডে পাঠানো হয় ক্যান্সারের চিকিৎসা করার জন্য। দেখা গেছে, এই 1565 জন রোগীর মধ্যে মাত্র 54 জন কোভিড পজিটিভ ছিলেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে 45 থেকে 59 বছরের বয়সের মধ্যে ছিলেন। এবং তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ছিলেন। মাত্র তিন জন কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরে ভর্তি হন এবং তাঁদের মধ্যে দু'জনের চিকিৎসাতে আইসিওতে ভেন্টিলেটরের সাহায্য নিতে হয়।
সমস্ত রোগীদের মধ্যে 8 জনের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার জন্য মৃত্যু হয় এবং কোভিড আক্রান্ত এক জন রোগীর মৃত্যু হয়। আমরা দেখতে পাই যেহেতু সমগ্র রোগীদের মধ্যে মাত্র 3.4% রোগী আক্রান্ত ছিলেন এবং 54 জনের ভিতরে একমাত্র একজন মারা গেছেন। সুতরাং বলা যেতে পারে ক্যান্সার হওয়া মানেই কোভিডে মৃত্যু হবে এমনটা নয়। তবে ভারতবর্ষে এ ধরনের গবেষণা আরও প্রয়োজন বলে মত চিকিৎসকদের।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল এবং ওয়েস্ট সাফোক হাসপাতাল, ইউকে