রাজ্যে ২০২০ সাল থেকে চালু হচ্ছে পাশ-ফেল । তবে পাশ-ফেল চালু হওয়া নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,‘‘জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষাবর্ষেই পঞ্চম ও অষ্টমে আবার পাশ–ফেল চালু হয়ে যাচ্ছে। যে–সব পড়ুয়া অকৃতকার্য হবে, তাদের জন্য থাকবে ‘রেমিডিয়াল টেস্ট’।’’
তৃণমূল সরকার শুরু থেকেই পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ–ফেল ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী। শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতও নেন। কোন ক্লাস থেকে ফের পাশ–ফেল চালু করা হবে, বিভিন্ন সময়ে তা নিয়ে মতভেদ দেখা গিয়েছে। তবে কেন্দ্রের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, পাশ–ফেল ফেরাতে হবে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে। বাংলার কিছু রাজনৈতিক দল, শিক্ষক সংগঠন এর বিরুদ্ধে মত দিলেও রাজ্য সরকার এর বাইরে যাবে না বলেই খবর ছিল।
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে কোনও পড়ুয়া ফেল করলে তাকে দু’মাস বিশেষ ক্লাস করিয়ে আবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। সেই পরীক্ষাতেও যদি সে পাশ করতে না–পারে, তা হলে তাকে আগের ক্লাসেই থেকে যেতে হবে। এই ‘রেমিডিয়াল টেস্ট’ কী ভাবে নেওয়া হবে, তার নির্দেশিকা তৈরির কাজ চলছে। এদিকে রাজ্য সরকার পাশ – ফেল প্রথা ঘোষণা করার পরেই শিক্ষা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ।
সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর অভিমত , অকৃতকার্য ছাত্র বা ছাত্রীকে রেমিডিয়াল টেস্টের আগে স্কুলে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তার স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গেলে স্কুলছুট হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সারা বাংলা শিক্ষা বাঁচাও কমিটি প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশ–ফেল চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে। কমিটির নেতা কার্তিক সাহা বলেন, ‘‘পঞ্চম–অষ্টমে পাশ–ফেল ফেরালে প্রাথমিকটা প্রায় অবহেলিতই থাকছে।’’
এসইউসি–র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘আমরা চাই, পাশ–ফেল চালু হোক প্রথম শ্রেণি থেকেই। এ নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে।’’ সৌগতবাবু জানান, তাঁরা চেয়েছিলেন অন্তত তৃতীয় শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল ফিরুক। বাম শিক্ষক সমিতি এবিটিএ বরাবরই পাশ–ফেল প্রথা ফেরানোর বিরোধী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, ‘‘আমরা আবারও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। ধারাবাহিক নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়নই সব পড়ুয়ার পক্ষে আদর্শ।’’