নির্মলার কাছে ছুটলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা
ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি এবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা ছুটলেন নির্মলার কাছে জিএসটি ক্ষতিপূরণের জন্য পাওনা ১৪৩৩ কোটি টাকার দাবী নিয়ে। অগস্ট-সেপ্টেম্বরের সেই অর্থ অক্টোবরে মেলার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তা পায়নি রাজ্যগুলি।
পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরল, পঞ্জাব ও রাজস্থান, এই পাঁচ বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিবৃতি জারি করেছিলেন। সংসদে বিরোধীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নির্মলা জবাব দেননি। অগত্যা সরাসরি তাঁর সঙ্গে দেখা করে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। কেরলের অর্থমন্ত্রী আইজ্যাক টমাসের উদ্যোগে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে এই সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্রের খবর, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব ও পুদুচেরি, চার কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরা নির্মলার সঙ্গে বৈঠক করবেন। কেরল, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির অর্থমন্ত্রীরা বৈঠকে না-গেলেও, তাঁদের সমর্থন থাকবে। এক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্র সাংবিধানিক ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে দায়বদ্ধ। এখন তারা তা মানছে না বলে রাজ্যগুলির সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা হয়। কিন্তু পরে ঠিক হয়, প্রথমে জিএসটি পরিষদে বিষয়টি তোলা হবে।’’
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, মাসের শেষ দিকে জিএসটি পরিষদের বৈঠক হবে। আদায় নিয়ে কথা হবে সেখানে। অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে কেনাকাটা কমায় কর আদায় কমেছে। ফলে কমেছে রাজ্যের জিএসটি বাবদ আয়ও। সেস থেকে সেই ক্ষতিপূরণ মেটানো হত। কিন্তু সেস বাবদ আয় কমায় তা সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্র সেই সমস্যার কথা পরিষদে জানাবে।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ সালে রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ আয় ছিল ২.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে অক্টোবর পর্যন্ত তা ১.৭৪ লক্ষ কোটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তথ্য থেকে স্পষ্ট আদায়ের হাল খারাপ। কারণ, জিএসটি চালুর সময়ে ধরা হয়েছিল বছরে আদায় ১৪% বাড়বে।