জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল

A G Bengali
জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। রাজধানীর বাঙালি অধ্যুষিত এই এলাকায় দলের মহিলা সাংসদের পাঠানো সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অপরূপা পোদ্দার ও শতাব্দী রায়। প্রতিনিধি দলে থাকছেন প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষও। পরিদর্শনকারী তৃণমূল সাংসদরা স্থানীয় জনতা ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিতে পারেন বলেই সূত্রের খবর। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বুলডোজার দিয়ে দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে ‘বেআইনি নির্মাণ’ ভাঙা শুরু করেছিল উত্তর দিল্লি পুরসভা। পুরসভার ওই সিদ্ধান্তের আগেই স্থগিতাদেশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু আদালতের রায়ের কপি হাতে না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। পরে আদালতের সেই স্থগিতাদেশের কপি হাতে নিয়ে বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে তা আটকে দেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট। তার পর থেকেই জহাঙ্গিরপুরী এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ভিন্ন মাত্রা পেতে শুরু করেছে। এ বার ওই এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে তৃণমূল প্রতিনিধি দলও।

গত শনিবার হনুমান জয়ন্তীর দিন দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনা ঘটে। তাতে কয়েক জন সাধারণ মানুষ ছাড়াও একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন। ঘটনাক্রমে দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা হুঁশিয়ারি দেন, জহাঙ্গিরপুরী মসজিদের পাশাপাশি থাকা সব ‘বেআইনি নির্মাণ’ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। একই ঘোষণা আসে এনডিএমসি-র তরফেও। এর পর মঙ্গলবার সকালে ১০টা নাগাদ উত্তর দিল্লি পুরসভা থেকে ন’টি বুলডোজার পাঠানো হয় ওই জায়গায়। প্রায় ৪০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। ঘটনাস্থলের ‘অবৈধ’ দোকানপাট ভাঙচুরের সময়ই সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের কপি নিয়ে পৌঁছন এক মামলাকারী।

Find Out More:

Related Articles: