কেন এপ্রিলেই সব হোম ম্যাচ খেলে নিতে হবে আরসিবিকে?
ফর্মে রয়েছেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ২০২২ সালের আইপিএলের পরেই বিরাটের ব্যাটে এসেছে সেঞ্চুরি। ১০০০ দিনের খরা কাটিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে শতরান করেছেন তিনি। অতি সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমেদাবাদ টেস্টে সেঞ্চুরি পান কোহলি। ২০১৯ সালের পর এই প্রথন তিনি টেস্টে শতরান করেন। ক্যাঙ্গারু বাহিনীর বিরুদ্ধেই চেন্নাইতে একদিনের ম্যাচে অর্ধশতরান করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
আপাতত সুস্থ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (Glen maxwell)। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এক দুর্ঘটনায় পা ভাঙে তাঁর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও ম্যাক্সওয়েলের মাঠে নামা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। আইপিএল খেলার জন্য প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন। ফলে বেশ খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে টিম ম্যানেজমেন্টে।
আরসিবির সাতটি হোম ম্যাচের মধ্যে ছয়টি ম্যাচই এপ্রিল মাসে খেলা হয়ে যাবে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। চলতি বছরের মে মাসে কর্নাটকে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্যই এই সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছে বিসিসিআই। সব দলের জন্যই হোম ম্যাচ খেলা অ্যাডভান্টেজ।
এখনও পর্যন্ত তিন বার ফাইনাল খেলেছে আরসিবি, কিন্ত ট্রফি আজও অধরা। ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্স, ২০১১ সালে চেন্নাই সুপার কিংস এবং ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলেছিল তারা। এবারের আইপিএলে কি সেই ট্রফির খরা কাটিয়ে উঠতে পারবেন কোহলিরা?
প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএল যা শেষ হবে ১ জুন। ৭ জুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল (WTC Final) খেলতে ইংল্যান্ডে যাবেন বিরাট,রোহিতরা। সেখান থেকে ক্যারিবিয়ান সফর, তারপরেই আবার এশিয়া কাপ (Asia Cup) রয়েছে। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে আরও একদফা ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে ভারত। এই পরিমাণ ক্রিকেটের ধকল সহ্য করে ক’জন শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের জন্য সুস্থ থাকতে পারবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।