টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ভদ্রস্থ রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেটে ১৪৪ রান তোলে তারা। তবে শুরুটা খারাপ হয়নি। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন এবং সৌম্য সরকার প্রথম উইকেটে ৪৩ তুলে দেন। সৌম্য ১৪ রানে ফিরতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস শুরু হয়। পর পর ফিরে যান নাজমুল, লিটন দাস, শাকিব আল হাসান। ৬৩ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টানেন আফিফ হোসেন (৩৮)। তবে উল্টো দিকে কাউকে পাননি বলে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে পারেননি। পরের দিকে অবশ্য নুরুল হাসান (১৩) এবং মোসাদ্দেক হোসেন (অপরাজিত ২০) কিছু সঙ্গ দেন আফিফকে। তবে ১৮তম ওভারের শেষ বলে মারতে গিয়ে আফিফ নিজেই ফিরে যান। নেদারল্যান্ডসের বাস দ্য লিড এবং পল ফান মিকেরেন দু’টি করে উইকেট নেন।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহরাজকীয় ইনিংস খেলার পর বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) সোহাগে-আদরে ভরিয়ে দিলেন সতীর্থরা। কখনও রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) তুলে নিলেন কাঁধে তো কখনও রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) টেনে নিলেন বুকে। ম্যাচের পর গুরু দ্রাবিড় যেভাবে স্নেহ ভরে কোহলিকে বুকে টেনে নেন, সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আইসিসি ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছে।পাক বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট শাসন করে কোহলি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, জঙ্গলের 'রাজা' ওরফে 'কিং' একটাই। ৯৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ৫৩ বলে ৮২ রানের কোহলির এই ইনিংস ইতিহাসে লেখা থাকবে। মেলবোর্নের মনে থেকে যাবে বিরাটের ব্যাট। হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে ৭৮ বলের পার্টনারশিপে স্কোরবোর্ডে এদিন ১১৩ রান যোগ করেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ম্যাচের পর বিরাট বলছেন যে, কীভাবে এই ম্যাচ তাঁরা জিতলেন সেই ধারণাও তিনি করে উঠতে পারেননি।