ফের শুটআউট উত্তর দিনাজপুরে। ভরা বাজারে এবার তৃণমূল নেতাকে গুলি খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল, ইসলামপুর। তদন্তে নেমেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল নেতার নাম এসরামূল হক। বাড়ি, ইসলামপুরে বন্দীরামগছ গ্রামে। আগডিমটিখুন্তি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন তিনি। এদিন বিকেলে বাইক চেপে স্থানীয় রিঙ্কুয়া বাজারে এসেছিলেন এসরামূল। তারপর? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ভরা বাজারে ওই তৃণমূল নেতাকেো লক্ষ্য করে গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
অন্যদিকে, এদিকে কয়েক দিন আগে আবার ভরসন্ধেয় গুলি চলেছিল রায়গঞ্জে। সেদিন রায়গঞ্জের দেবীনগরের সুকান্ত মোড়ে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন দেবী স্যানাল। সঙ্গে ছিলেন বোন রূপা স্যানাল ও পুলিসকর্মী ভাই সুজয় মজুমদার। অভিযোগ, আচমকাই বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতীরা। দেবী, রূপা ও সুজয়কে বাড়ি থেকে টানতে টানতে রাস্তা নিয়ে যায় তারা। তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালানো হয়!
আবার, নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় একটি খুনের মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ওই মামলার চার্জশিটেপূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার নাম দেয়নি বলে তাঁর আইনজীবীর দাবি। এই ঘটনাকে ‘নৈতিক জয়’ হিসেবে দাবি করেছেন সুফিয়ান। তদন্তের পর হলদিয়া মহকুমা আদালতে সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে সুফিয়ান-সহ নতুন করে কোনও তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম নেই বলে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিমল কুমার মাজি জানিয়েছেন। শুক্রবার বিমল বলেন, “দেবব্রত মাইতি খুনের তদন্তে নেমে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল কেবলমাত্র তাঁদের নামই সিবিআই-এর চার্জশিটে রয়েছে। এর মধ্যে দু’জন শেখ ফতেনুর এবং শেখ মিজানুর জামিনে মুক্ত। মূল অভিযুক্ত শেখ ইমদাদুল এখনও জেল হেফাজতে।”