প্রয়াত অলিম্পিয়ান সমর বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়দানে যিনি বদ্রু নামেই পরিচিত ছিলেন। শুক্রবার রাত ২টো ১০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হওয়ার জন্য গত ২৭ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে খবর দেওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাবে। সবুজ-মেরুনের সচিব দেবাশিস দত্ত যোগাযোগ করেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া দফতর এবং মোহনবাগান ক্লাবের সহযোগিতায় অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আলাদা মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি হয়। দুজন নিউরোলজিস্টও তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও দেখা যায়। এরপর বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমার বাঙ্গুর নিউরোসায়েন্সে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে গত বেশ কোয়েকদিন লড়াই করার পর এ দিন ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সাত বছর মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন বদ্রু। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ৯২ বছরে থেমে গেল বদ্রুর পথ চলা। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তর পরে ময়দান হারাল তার আরও এক প্রিয় ফুটবলারকে। বদ্রুর প্রয়াণে ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
অন্যদিকে, এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও গোকুলাম কেরালা এফসি-র মহিলা দলকে (Gokulam Kerala FC Womens) এএফসি কাপে (AFC Cup) খেলতে দেওয়ার জন্য ফিফা (FIFA) ও এএফসি-র (AFC) কাছে আবেদন করল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক (Central Sports Ministry)। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যেই সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) নির্বাসিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ফিফার নির্বাসন থাকায় কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না ভারতের কোনও ক্লাব। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ফিফা ও এএফসি-র কাছে এই অনুরোধ করা হয়েছে।