বিরাট কোহলির ১৩ বছর
১) পরিসংখ্যানের বিচারে তিনি ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক। দেশকে এখনও পর্যন্ত ৬৩টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিতেছেন ৩৭টি ম্যাচে। হার এবং ড্র যথাক্রমে ১৫টি এবং ১১টি ম্যাচে। সাফল্যের হার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে বেশি।
২) এক দিনের ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানের তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলি। শীর্ষে সচিন তেন্ডুলকর (১৮,৪২৬)। ১৩ বছরে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ৯৪টি টেস্ট, ২৫৪টি ওয়ান ডে এবং ৯০টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন ভিকে। তিন ফর্ম্যাটে তাঁর ব্যাট থেকে যথাক্রমে ৭৬০৯, ১২১৬৯ ও ৩১৫৯ রান এসেছে। তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে বিরাটের শতরান সংখ্যা ৭০। আইপিএলে ১৯৯টি ম্যাচ খেলা বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ৬০৭৬ রান। যা এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বাধিক।
৩) আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের সব থেকে বেশি রান কোহলির। ৯০ ম্যাচে ৩ হাজার ১৫৯ রান রয়েছে তাঁর। গড় ৫০-এর উপরে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি অর্ধশতরানের মালিকও কোহলি,২৮টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি বার সিরিজের সেরা হয়েছেন তিনি। সাত বার এই নজির রয়েছে তাঁর। সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে সিরিজের সেরা হয়েছেন ১৯ বার, রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৪।
৪) এক দিনের ক্রিকেটে ভারতীয় অধিনায়কদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিচারে যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থানে তিনি। সৌরভ, ধোনি এবং বিরাট তিন জনেরই সর্বোচ্চ রান ১৮৩।
৫) একটি এক দিনের সিরিজে সব থেকে বেশি রান রয়েছে কোহলির। ২০১৭-১৮ মরসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি সিরিজে তিনটি শতরান-সহ ৫৫৮ রান করেছিলেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে কোনও দেশের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি শতরানের নজির রয়েছে তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত তিনি ন’টি শতরান করেছেন।
৬) সব থেকে কম বয়সে আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১২-য় তিনি এই পুরস্কার পান মাত্র ২৩ বছর বয়সে। এর পর ২০১৭-তেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
১০) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে কোহলির। আউট করেছিলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেনকে।