সাই কর্তার মেয়ের বিয়ে তাই বাতিল ফুটবল সিলেকশন, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা
সাই কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের মেয়ের বিয়ে, তাই ইষ্টার্ণ রিজিওনের ফুটবল সিলেকশন বাতিল করা হল কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান সিউড়ি রোডের তালিতে সাই কমপ্লেক্সে। এই ঘটনায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ইচ্ছুক ছেলেদের সঙ্গে আসা তাদের অভিভাবকরাও।
আগাম নোটিশ ছাড়াই কেন বাতিল করা হল এই সিলেকশন – তা নিয়ে রীতিমত সরব হন তাঁরা। এদিন পানাগড় থেকে এসেছিলেন মিলন হেমব্রম। মালদা থেকে সু্মন বাস্কে। ধানবাদের এক অভিভাবক শ্যামল মারাণ্ডি জানিয়েছেন, ইণ্টারনেট থেকে দেখে তাঁরা এদিন এসেছিলেন। মঙ্গলবার ছিল সাই কমপ্লেক্সে ইষ্টার্ণ রিজিওনের ফুটবল দল গঠনের জন্য ফুটবলার বাছাইয়ের কাজ। যথারীতি ইণ্টারনেটে এব্যাপারে সাই -এর পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২৪ জানুয়ারী এব্যাপারে সার্কুলার দেওয়া হয় ওপেন সিলেকশন ট্রায়ালের জন্য। সাইয়ের ইষ্টার্ণ রিজিওন থেকে এই সার্কুলার দেওয়া হয়। সার্কুলার অনুসারে মঙ্গলবার ১২ – ১৬ বছরের ছেলেদের ফুটবলের সিলেকশন হবার কথা ছিল।
যথারীতি এদিন বিহার, মালদা, পানাগড়, ঝাড়খণ্ড থেকেও ছেলেদের নিয়ে অভিভাবকরা এসে হাজির হন বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্সে। কিন্তু এদিন বর্ধমানের বর্ধমান-সিউড়ি রোডের তালিতে সাই কমপ্লেক্সে এসে তাঁরা জানতে পারেন সাই কমপ্লেক্সের বর্তমান ইনচার্জ শিবাজী সেনগুপ্তের মেয়ের বিয়ে। তাই এদিন কেনো সিলেকশনই হবে না। আর এই ঘটনার পরই রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক থেকে ছেলেরা। বারবার তাঁরা সাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের আসার আবেদন জানান। কিন্তু এদিন বিকাল পর্যন্ত কেউই আসেননি। ফলে ব্যাপকভাবেই তাঁরা হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমনকি এব্যাপারে আগাম কোনো কিছু জানানোও হয়নি।
অন্যদিকে, বর্ধমান সাই কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ইষ্টার্ণ রিজিওন থেকে এই সিলেকশন চার্ট দেবার পরই বর্ধমান থেকে সিলেকশন নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। জানা গেছে, বর্ধমান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় বর্তমানে এখানে ২৫জনের মধ্যে ২৪জন রয়েছে। তাই কলকাতা দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁরা আলাদা করে কোনো সিলেকশনে আগ্রহী নয়। তাঁরা আবেদন করেছিলেন একজন সিনিয়রকে দিলেই বর্ধমানের কোটা পূরণ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একজনের জন্য সিলেকশন যাওয়া সমীচীন হবে না।
এদিকে, এব্যাপারে সাই -এর কলকাতা অফিসে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন তোলেন নি। এমনকি সাইয়ের ইষ্টার্ণ রিজিওনের ডিরেক্টর মনমিত সিং-কেও ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। পাশাপাশি শিবাজী সেনগুপ্তের সঙ্গেও বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকেও পাওয়া যায়নি।