দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস

A G Bengali
দেশে স্বাভাবিক বর্ষার পূর্বাভাস। দিল্লির মৌসম ভবন শুক্রবার জানাল, আসন্ন বর্ষায় স্বাভাবিক, প্রায় ৯৬ শতাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে। যা চাষিভাইদের জন্য অত্যন্ত সুখবর বয়ে আনল। মে মাস প্রায় শেষ হতে চলল, আসন্ন বর্ষার আগে চাষিরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাই তাঁদের জন্য খুশির খবর এই যে, আগামী ৪ জুনের মধ্যে কেরলের মাটি ছুঁতে চলেছে বর্ষারানি। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, প্রায় ৯৬ শতাংশ বৃষ্টি হবে এই মরশুমে। তবে দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে সামান্য কম বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। আগামী দুদিনে বর্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে চলেছে।
জুন মাসে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিণ উপকূল, উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর ভারতে। অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এল নিনোর পরিবেশ থাকলেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু স্বাভাবিক সময়েই প্রবেশ করবে। এবছর এখনও পর্যন্ত আরব সাগরে কোনও সাইক্লোনের দেখা নেই। আবহাওয়াবিদদের মতে, যদি দেশের সর্বত্র সমপরিমাণ বৃষ্টি হয়, তাহলে চাষিদের জন্য তা হবে অত্যন্ত সুখকর।
কৃষিপ্রধান পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড এবং রাজস্থান এবং কাশ্মীরের একাংশে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টির পূর্বাভাস। ২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও প্রচণ্ড গরম (Extreme Hot Temperature) পড়েছে। আর তার কারণ হল, ফিরতে পারে এল নিনো (El Nino)। বলা হচ্ছে, দীর্ঘ তিন বছর পর ফিরছে আবহাওয়ার এই বিস্ময়কর ঘটনা (Weather Phenomenon)। ফলে চলতি বছরে প্রচুর গরমে তাপমাত্রায় ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ববাসী। আর তা হলেই এবারে ভারতে বর্ষায় বৃষ্টিপাত কম হবে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।
ভারতের কৃষি এখনও অনেকটাই বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল। তাই এল নিনোর প্রভাবে বৃষ্টি কম হলে, আসন্ন অর্থবর্ষে কৃষি উৎপাদন মার খেতে পারে। আরও সমস্যায় পড়তে পারেন কৃষিজীবীরা। শুধু তাই নয়, বাজারে জোগানের অভাবে দাম বাড়তে পারে খাদ্যমূল্যের। জানুয়ারি মাসের অর্থনৈতিক পরিচালনায় এমনটাই উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।

Find Out More:

Related Articles: