ষষ্ঠী আপাতত 'বৃষ্টি'হীন। যদিও বাংলার আকাশ আজ শরতের নীল রঙ কিংবা পেঁজা তুলোর মেঘে সেজে নেই। বরং সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আজ সারাদিন এমনই থাকবে। মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরিতেই কাটবে পুজোর ষষ্ঠী। তবে আন্দামান সাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের কাছাকাছি আসবে, এমনটাই পূর্বাভাস রয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে৷ আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ঘনীভূত হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এর ফলে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, ষষ্ঠীর দিনেও রেয়াত করল না তেলের দাম। গাড়ি চড়ে ঘুরতে বেরোনোর খরচ আরও বাড়িয়ে আজ কলকাতায় পেট্রল ছাড়াল ১০৫ টাকা। আইওসি-র পাম্পে ২৯ পয়সা বেশি। এক লিটার কিনতে খরচ হবে ১০৫.০৯ টাকা। পুজোর আনন্দে আরও বেশি করে জল ঢালার কাজে পিছিয়ে নেই ডিজেলও। লিটারে ৩৫ পয়সা বেড়ে তার দাম ছুঁয়েছে ৯৬.২৮ টাকা। মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে বিরোধীদের তোপ, অন্যান্য ক্ষেত্রে তেলের চড়া দরের প্রভাব মানুষের জীবনকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলবে। ক্ষুব্ধ সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই নিয়ে সাত দিন লাগাতার দাম বাড়ল। পরিবহণ খরচ মাত্রা ছাড়াচ্ছে। সব থেকে বেশি যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। কারণ খাদ্যপণ্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছু আরও আগুন হবে। তবু কর কমানো নিয়ে সরকারের হেলদোল নেই। প্রশ্ন উঠছে, জরুরি জিনিসে এত বেশি খরচ হলে, অপরিহার্য নয় এমন পণ্য কী করে কিনবে লোকে? উৎসবে চাহিদা কিছুটা ছন্দে ফেরার আশা থাকলেও, এমন অবস্থায় তা নিয়ে সংশয়ী শিল্প মহল।