বুধবারই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সূচনা হয়েছে। চলবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশনের সূচনা-পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতাতেও বার বার এসেছে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের নাম। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ধনখড়ের বিপুল জয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘উনি রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলকে নিয়ে কাজ করতে পারেন। আমার বিশ্বাস, আমাদের সকলকে নিয়ে উনি এগিয়ে যাবেন। ওঁর মার্গদর্শনে আমরা সমৃদ্ধ হব।’ রাজস্থানের কৃষক পরিবারের সন্তান ধনখড়ের আইনজীবী হিসাবে সাফল্যের কথাও বক্তৃতায় তুলে ধরেন মোদী। উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে আদালতের তিন দশকের সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘‘সংসদে এলে আর আপনার মনে আদালতের অভাব অনুভূত হবে না।’’ সেই সঙ্গে সভা পরিচালনায় নয়া চেয়ারম্যানের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিরোধী সাংসদদের কাছে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিয়েছে ইডি। পাশাপাশি, ইডির পেশ করা চার্জশিটে তাপস মন্ডল সহ আরও ২ সংস্থার নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। মোট ৬ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর গ্রেফতার হন মানিক ভট্টাচার্য। ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল ইডি। মোট ১০৭ পাতার চার্জশিট। চার্জশিটে ৫০ জন সাক্ষীর বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর ম্যারাথন জেরার পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। সেদিন দুপুর ১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানেই সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী আধিকারাকিরা। বয়ানে অসঙ্গতি ও তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারির আগে মানিক ভট্টাচার্যের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। বেপাত্তা মানিকের নামে লুক আউট নোটিসও জারি করেছিল।