‘ফণি’, ‘আমপান’, ‘ইয়াস’-এর পর এ বার বাংলার দিকে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘সিতরাং’! হ্যাঁ, আন্দামান সাগরে তৈরি হতে চলা ঘূর্ণিঝড়ের পোশাকি নাম আপাতত রাখা হয়েছে এটাই। শুক্রবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে জেলাশাসকদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। উপকূল থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর সেই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
কালীপুজোয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর) বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। ওই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়ার বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি। কখনও কখনও দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে। ওই তিন জেলায় কালীপুজোয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় ৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। ওই তিন জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলায় (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর) বইবে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার থাকবে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ৭০ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুরে কিছুটা হাওয়ার দাপট কম থাকবে। সেখানে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে। কখনও কখনও ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগ ঝড়ের সম্ভাবনা আছে।