ডিএ মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট

A G Bengali
ডিএ বা মহার্ঘভাতা মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল। এ নিয়ে তৃতীয় বার পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করা হল। হাই কোর্টে রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা কর্মীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যেই ডিএ নিয়ে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। ‘রোপা রুল’ মেনে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা মিটিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য।

অন্যদিকে, মহালায়ার তিন দিন আগে খুলে যাচ্ছে নবনির্মিত টালা সেতু। যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। সেজে উঠেছে সেতু। বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার সঙ্গে শহরতলির যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই সেতু। পুজোর আগে তা খুলে যাওয়ায় বড় স্বস্তি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর রাজ্যের সবকটি ব্রিজেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ২০১৯-এর অক্টোবরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে টালা ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২০২০-র পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ব্রিজ ভাঙা। ওই বছরের এপ্রিলে শেষ হয় সেই কাজ। অগস্টে সেতুর নির্মাণ শুরু করে লার্সেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড। ২ বছর পর নতুন রূপে চালু হচ্ছে টালা ব্রিজ। গত ক’দিন ধরে ব্রিজের ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা চালিয়েছেন খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞরা। নতুন করে টালা ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা। নতুন সেতুটি ৪ লেনের। ৮০০ মিটার লম্বা এই সেতু দু’টি ফ্ল্যাঙ্কে বিভক্ত।

Find Out More:

Related Articles: