বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় দমকা হাওয়া ও কিছুটা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমলেও আজ বেলা বাড়তেই ফের বাড়বে অস্বস্তি। উত্তরে যদিও প্রবেশ করেছে আগাম বর্ষা। দক্ষিণে অবশ্য বর্ষা সময়ের পরেই আসার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে, তিন-চারদিন মৌসুমী বায়ুর অনুকূল পরিস্থিতি নেই দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়াবিদদের এই অনুমান সত্যি হলে নির্ধারিত দিনের পরেই বর্ষা আসবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় বর্ষা আসার সময় ১১ জুন। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, এ বছরে আগাম বর্ষা এসেছে আন্দামান সাগর থেকে কেরল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। বাংলার উত্তর বঙ্গে বর্ষা ঢুকেছিল নির্ধারিত সময়ের ৪দিন আগে।
অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে আগামী ২-৩ ঘণ্টা। ফলে রাতের দিকে গরম কিছুটা কমলেও কমতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাসও ছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলিতে। ঝড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তবে এই ধরনের বৃষ্টিতে দিনের তাপমাত্রা কমবে, এমন আশ্বাস দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফলে রাতে বৃষ্টি হলেও সকালে আবার একইরকম ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে। আর সেই পূর্বাভাসই মিলল আজ। গরমের জ্বালায় কার্যত নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা, সেইসঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তিও।