কোনওরকম পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) মেয়ে অঙ্কিতার SSC-তে নিয়োগ নিয়ে এইসব অভিযোগেই মামলা দায়ের করেছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। সেই মামলাতেই এবার চাকরি গেল মন্ত্রীকন্যার। হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ তাঁকে এ যাবৎ দেওয়া সমস্ত বেতনও ফেরত দিতে হবে। দু’টি কিস্তিতে ওই টাকা ফেরাতে হবে অঙ্কিতাকে। অঙ্কিতার বিরুদ্ধে বাবার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন ববিতা সরকার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। প্রথম কিস্তি দিতে হবে ৭ জুন। দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ ৭ জুলাই।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ের মেয়ে ববিতা সরকার ২০১৬-তে SSC পরীক্ষায় বসেন। ২০১৭-র ২৭ নভেম্বর সেই SSC-র মেধাতালিকা প্রকাশ হয়। সেই মেধাতালিকায় প্রথম ২০-তেই নাম ছিল ববিতা সরকারের। কিন্তু হঠাৎই সেই তালিকা বাতিল করে SSC নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করে। দেখা যায়, দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ববিতার নাম নেই। ববিতার নাম ওয়েটিং লিস্টে। আর নতুন মেধাতালিকার শীর্ষে রয়েছে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম। পুরনো তালিকার কোথাও যাঁর নাম ছিল না। এরপরই আইনের রাস্তায় হাঁটেন ববিতা। অভিযোগ, মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার থেকে ১৬ নম্বর বেশি পেয়েও মেধাতালিকা থেকে ছিটকে যান ববিতা। ২১ নম্বরে ঠাঁই হয় তাঁর। আর তারপরই শুরু হয় ববিতার লড়াই।