হাসপাতাল সূত্রে খবর, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বুকের ব্যথা এখনও কমেনি। তাই এবার সিটি অ্যানজিও করতে অনুব্রত মণ্ডলকে রামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির এমআরআই করা সম্ভব নয়। তাই তাঁর সিটি অ্যাঞ্জিও করা হচ্ছে বলে চিকিৎসক সূ্রে খবর। এ দিন অ্যাম্বুলেন্সে করে এসএসকেএম থেকে রামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ‘কেষ্ট’কে। হুইল চেয়ারে করে অ্যাম্বুলেন্সের কাছে আনা হয় তাঁকে, সেখান থেকে উঠে পায়ে হেঁটেই অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণধরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা চলে। বিকেলে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় উডবার্ন ওয়ার্ডে।
গত ৬ এপ্রিল গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বেরিয়ে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন অনুব্রত। তাঁর একাধিক শারীরিক উপসর্গ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। শ্বাসকষ্ট, হৃদযন্ত্রে সমস্যা তো আগে থেকেই ছিল, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানা যায় অনুব্রতর ২টি অন্ডকোষেই সংক্রমণ রয়েছে। যার জেরে জমছে পুঁজ। তা থেকে যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেই থেকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। প্রায় ১৫ দিন পর বুধবার উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেরোলেন অনুব্রত মণ্ডল। ৬ তারিখ সিবিআই দফতরে যাওয়ার পথে হঠাৎ কেষ্ট মণ্ডলের গাড়ি অভিমুখ বদল করে এসএসকেএম-এ ঢুকেয়ায়। শারীরিক অসুবিধা হওয়াতেই তদন্তকারীদের মুখোমুখির হওয়ার বদলে হাসপাতালে অনুব্রতকে যেতে হয়েছে বলে সিবিআই দফতরে জানান তাঁর আইনজীবী। প্রয়োজনে গোয়েন্দারা চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে আর্জি জানিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। পরে হাসপাতালে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা।