ফলাফল যে দিকে চলেছে, তাতে কাঁথিতে বোর্ড গড়ছে শাসক তৃণমূল। সম্ভাব্য পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি। যিনি ঘটনাচক্রে, জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের বিরোধী শিবিরের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র। কাঁথির ফলাফল নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি শুভেন্দু বা বিজেপি-র তরফে। কাঁথি পুরসভায় মোট আসন ২১টি। তার মধ্যে ১৭টিই জিতেছে তৃণমূল। তিনটি গিয়েছে বিজেপি-র ঝুলিতে। কাঁথি উত্তরের দলীয় বিধায়ক সুমিতা সিংহকে পুরভোটে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তিনি তৃণমূলের কাছে হেরেছেন ৭৭ ভোটে। অবশ্য কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অরূপ দাস ১৭৮ ভোটে জিতেছেন। জিতেছেন তাঁর আরও দুই সতীর্থও। একটি আসন পেয়েছেন নির্দল প্রার্থী।
অন্যদিকে, ১০৮ পুরসভার গণনা করা হবে মোট ১০৭টি জায়গায়। গণনাকেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এই কেন্দ্রগুলিতে। প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও করোনা নিরাপত্তার বিষয়ে কোনওরকম খামতি থাকছে না গণনা কেন্দ্রের ভিতরে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে প্রথম স্তরে থাকছে লাঠিধারী পুলিস থেকে শুরু করে কমব্যাট ফোর্স। দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করতে গেলে সঙ্গে শুধুমাত্র সাদা কাগজ ও পেন ছাড়া কিছুই রাখা যাবে না। সংবাদ মাধ্যমের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা থাকছে এই দ্বিতীয় বলয়ে। তৃতীয় বলয়ের একপাশে স্ট্রং রুম। এখানে রয়েছে সব ইভিএম। অন্যদিকে তৈরি হয়েছে মূল গণনা কেন্দ্র। এই বলয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সশস্ত্র পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।