শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে যাদবপুরের এক বাসিন্দা এ নিয়ে ফোন করেন। আর তার পরেই ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম উপস্থিত পুর আধিকারিকদের কাছে জানতে চান, কলকাতায় সুনির্দিষ্ট হোর্ডিং-নীতি কবে বাস্তবায়িত হবে? মেয়রের প্রশ্ন, ‘‘হোর্ডিং-নীতির বাস্তবায়ন দিল্লি, মুম্বই পারলেও আমরা পারব না কেন?’’ এর উত্তরে এক পুর আধিকারিক জানান, হোর্ডিং-নীতির প্রস্তাবের আইনি ছাড়পত্র পেতে রাজ্য সরকারের কাছে তা পাঠানো হয়েছে। মেয়র আধিকারিকদের এ বিষয়ে দ্রুত কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাদবপুরের ওই বাসিন্দা মেয়রকে ফোনে জানান, তিনি সুকান্ত সেতুর কাছেই থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দেখছেন, সেতু লাগোয়া উঁচু বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং থেকে ছেঁড়া অংশ বাতিস্তম্ভের উপরে এসে ঝুলতে থাকায় তা যেমন বেমানান দেখাচ্ছে, তেমনই তা বাতিস্তম্ভের আলো আড়াল করছে। আরও অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনে যত্রতত্র কেব্ল ঝুলছে বলে বাড়িতে ঢুকতে-বেরোতেও সমস্যা হচ্ছে। উত্তরে মেয়র পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকদের দ্রুত ওই কেব্ল কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, পুরভোটের আবহে জোর ধাক্কা খেলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন অর্জুন সিংয়ের দুই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। শনিবার এক অনুষ্ঠানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন অর্জুন সিংয়ের(Arjun singh) ভাইপো সৌরভ সিং ও ভগ্নিপতি সুনীল সিং। নোয়াপাড়া বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং(Sunil Singh)। বিধানসভা নির্বাচনের পর দল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়াটরা। এছাড়াও রাজ্য সংগঠনের বহু ছোটখাটো নেতার দলত্যাগের অন্ত নেই। পাশাপাশি জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারির মতো বেসুরোরাও রয়েছেন। এবার খোদ অর্জুন সিংয়ের খাসতালুকে ভাঙ্গন।