প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ল্যান্ডফল হতে পারে পুরীতে। কিন্তু আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে পুরী ছুঁয়ে জাওয়াদ বাংলারই দিকেই এগিয়ে আসতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে কাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। জওয়াদ ঠিক কোথায় এবং কোন সময় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জওয়াদের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। পুরীর কাছে পৌঁছেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় ঢোকার আগে তা পরিণত হবে নিম্নচাপে। সেই নিম্নচাপ সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবে।
শনিবার আবার অমাবস্যা। দুই মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলায় হতে পারে জলোচ্ছ্বাস। এ বছর ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর আছড়ে পড়ার সময়ে ছিল ভরা কটাল। দুইয়ের জেরে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সাক্ষী ছিল উপকূলের দুই জেলা। দীঘা, মন্দারমণির পাশাপাশি সাগর, ঘোড়ামারা এবং মৌসুনি দ্বীপ-সহ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নদীবাঁধগুলি ছাপিয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। অমাবস্যার এবং ‘জওয়াদ’-এর মিলিত প্রভাবে ফের জলোস্ফীতি হতে পারে দীঘার সমুদ্রে। সুন্দরবন এলাকার নদীগুলির জলও বাঁধ ছাপিয়ে উপচে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ইয়াসের সময় পরিস্থিতি যতটা ভয়াবহ হয়েছিল, এ বার ততটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি মনে করছেন আবহবিদরা।