প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গেও। মঙ্গলবার আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে গরুবাথানে। পাশাপাশি, তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়েছে প্রবল ভাবে। বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে পাহাড়ের কয়েকটি এলাকাতে। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয় জলপাইগুড়ি লাগোয়া কালিম্পঙের গরুবাথানে। বৃষ্টির তেজে তিস্তার জলস্তর বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন হয় যে লকগেটের উপর দিয়ে বইতে থাকে জলস্রোত। সেচ দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দার্জিলিং ছা়ডাও জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর সিকিমে বিকেলের দিকে তুষারপাতের খবরও মিলেছে। যার জেরে কমেছে তাপমাত্রাও। প্রবল বৃষ্টির দাপটে ত্রিবেণীর রাস্তা দিয়েও বইছে তিস্তার জল, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে তিস্তা।
অন্যদিকে, পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির নেতৃত্বাধীন সরকার শহর ও গ্রামাঞ্চলে বকেয়া বিদ্যুৎ ও জলের বিল মকুবের সিদ্ধান্ত নিল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের উপর প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকার আর্থিক বোঝা যুক্ত হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে চরণজিৎ সিং চন্নি বলেন, "আমরা শহরের সর্বত্র বকেয়া জলের বিক মকুব করেছি যা প্রায় ৭০০ কোটির কাছাকাছি ছিল।" পরে তিনি একটি টুইটও করেন। সেখানে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের সরকার কথা দিয়েছিল যে বিদ্যুতের বকেয়া বিলও মকুব করবে৷ যেমন কথা দিয়েছিলেন, তেমন কাজও করছেন।