রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল সাতশোর ঘরে। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি কলকাতায়। মৃত্যু ১০ জনের। সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬০ থেকে কমে হয়েছিল ৬০৬। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই ছবিটা বদলে গেল। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমণের কবলে পড়েছেন ৭৬৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কলকাতায়, ১৮০ জন। সোমবার সংখ্যাটা ছিল ১৪৫। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন। সোমবার ছিল ১২৭ জন। তৃতীয় স্থানে হুগলি, চতুর্থ স্থানে হাওড়া, পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর ষষ্ঠ স্থানে নদিয়া।
অন্যদিকে, জরুরি ভিত্তিতে ২-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণে ছাড় পেয়েছে ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাক্সিন। মঙ্গলবারই এই টিকার ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে ওষুধ নিয়ামক সংস্থা (ডিসিজিআই)। ছাড়পত্র পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে আরও তিনটি সংস্থার টিকা। দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই শিশুদের টিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থা জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে।দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই শিশুদের টিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থা জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে। ভারত বায়োটেক ছাড়াও তার মধ্যে রয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা, বায়োলজিক্যাল ই, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পওয়ার জানিয়েছেন, শিশুদের জন্য যে সব টিকা তৈরি হচ্ছে সেগুলির মূল্যায়নের কাজ চলেছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।