ভবানীপুরে মমতা, বাকি ২ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল

A G Bengali
সবার জানাই ছিল। তবু আনুষ্ঠানিকতা তো করতেই হল। সেটাই হল। ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করল দল। নন্দীগ্রামে সামান্য ব্যবধানে হারার পরই বোঝা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জয়ের পর দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপনির্বাচনে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা হবে। সেই মত মমতার ঘরের কেন্দ্রে জেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রয়োজন পড়ে। শোনা যাচ্ছে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মমতা মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। এই কেন্দ্রে বিজেপি কাকে প্রার্থী করে সেটাই দেখার। শোনা যাচ্ছে এখানে কংগ্রেস প্রার্থী না-ও দিতে পারে। বামেদের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিতে পারে। প্রসঙ্গত, ক মাসে এই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা-মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচনের মত, সাধারণ নির্বাচন হবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে। এই দুই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন যথাক্রমে জাকির হুসেন ও আমিরুল ইসলাম।

গত ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় মুর্শিদাবাদ জেলার ১১টি বিধানসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার ঠিক আগে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাস কোভিডে মারা যান। তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে সিপিএমের তৌয়াব আলিকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের আমিরুল ইসলাম। এবারও তিনিই প্রার্থী ছিলেন। করোনায় প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায়, আসন্ন নির্বাচনেও আমিরুল ইসলাম তৃণমূল প্রার্থী হতে চলেছেন বলে খবর। গোটা মুর্শিদাবাদে জোড়া ফুলে ছয়লাপ এখন। কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন, বিজেপি ছাপ ফেললে, খাতা খোলার মত দাগ কাটতে পারেনি, বামেরাও শূন্য। সামশেরগঞ্জে ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেস প্রার্থী করোনায় মৃত্যুর পরদিন বিকেলে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। তাই সেখানে ভোট স্থগিত রাখা হয়। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ভোটের আগে জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি ভোটের প্রচার চালিয়েছিলেন। পরে তিনি সুস্থ হন। ২০১৬ বিধানসভা এই কেন্দ্রে ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলের জাকির হোসেন।

Find Out More:

Related Articles: