বাংলা থেকে মন্ত্রিসভায় চার বাঙালি শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার এবং জন বার্লা। কোচবিহারের ৩৫ বছর বয়সী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকই হতে চলেছেন মন্ত্রিসভার সবচেয়ে তরুণ সদস্য। উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক সামলাতে গুরুত্বপূর্ণ এই ঘোষণা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে মতুয়া ক্ষোভ প্রশমনে শান্তনু ঠাকুরকে এবার মন্ত্রিসভার দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে গেরুয়া শিবির বলে মত রাজনীতিবিদদের। এছাড়াও বাংলা থেকে প্রথমবার সাংসদ হয়েই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুভাষ সরকার ও জন বার্লা।
আগে ছিল ৫৩। এ বার হল ৭৪। মোট ২১ জন সদস্য বাড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায়। তবে শুধু নতুনদের জায়গা দেওয়া নয়, পুরনোদের মধ্যেও অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন ১৫ জন পূর্ণমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া, শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার, শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক প্রমুখ। এ ছাড়াও উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখও ইস্তফা দেন। থাওয়ারচাঁদ গহলৌতকে কর্নাটকের রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় মোট ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন আগে থেকেই ছিলেন। ৭ জন প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে ৮ জনকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে।