রাজ্য বিধানসভায় ২৯২টি আসনের মধ্যে দিদির দলের জয় এসেছে ২১৩টি-তে। রাজ্যে দুটো আসনের ভোট হওয়া বাকি আছে। বিরোধীদের একেবারে ধুলিসাত করে রাজ্যে টানা তিনবার বিধানসভা ভোটে জিতেছে তৃণমূল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর বিজেপি-র বিধায়ক মুকুল রায় আবার তাঁর পুরনো দলে ফিরেছেন। বিজেপি থেকে আরও কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা। ইতিমধ্যেই বিজেপি-র দুই বিধায়ক নিশিথ প্রামাণিক (দিনহাটা), জগন্নাথ সরকার (শান্তিপুর) পদত্যাগ করেছেন, কারণ তারা দলের নির্দেশে সাংসদই থাকছেন। ফলে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২২০ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। কিন্তু এতেও থেমনে থাকছে না রাজ্যের শাসক দল। প্রেস্টিজ ফাইটে একটুর জন্য নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে দিদির হারে গণনায় কারচুপি আছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।
নন্দীগ্রামের পর আরও চারটি বিধানসভা আসনের ভোটের চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গেল তৃণমূল। সেই চারটি আসন হল- ময়না (পূর্ব মেদিনীপুর), বনগাঁ দক্ষিণ (উত্তর ২৪ পরগনা), বলরামপুর (পুরুলিয়া), গোঘাট (উত্তর ২৪ পরগণা)। এই ৪ কেন্দ্রে গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে মামলা দায়ের হয়েছে। এই চার আসনেই খুব কম ভোটে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে জিতেছে বিজেপি। আরও পড়ুন: ময়নায় বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা তৃণমূলের সংগ্রামকুমার দলুইকে ১ হাজার ২৬০ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। এই আসনের ফলগণনার অনেকটা সময় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। গোঘাটে বিজেপি-র বিশ্বনাথ কারকের কাছে ৪ হাজার ১৪৭ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদার। সেখানেও ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ নির্বাচনী হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়া। বনগাঁ দক্ষিণে বিজেপি-র স্বপন মজুমদারের কাছে ২ হাজার ৪ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। বলরামপুরে এ বারের ভোটে শান্তিরাম মাহাতোকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বিজেপি-র বাণেশ্বর মাহাতোর কাছে মাত্র ৪২৩ ভোটে হেরেছেন তিনি।