করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ বাড়ল আরও ১৫দিন। গত ১৫ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্যে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে মন্ত্রিসভা গঠন ও শপথ নেওয়ার পরই রাজ্যে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেন মমতা। এবার সেই বিধিনিষিধের মেয়াদ বেড়ে হল ১৫ জুন। ১৪ মে রাজ্যে সংক্রমণ ছিল সবচেয়ে বেশি। আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ৮৪৬ জন। ১৫ মে আক্রান্ত হন ১৯ হাজার ৫১১ জন। কিন্তু বিধিনিষেধ ঘোষণার পর থেকে সংক্রমণ কমছে। তবে এখনই রাশ হাল্কা করার ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না, তাই বিধিনিষেধ বাড়াতে বাধ্যই হল রাজ্য সরকার।
এক মাসের কিছু বেশি দিন লকডাউনে থাকার পর মধ্যপ্রদেশে ১ জুন থেকে আনলকের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। দিল্লিতেও আনলক প্রক্রিয়া শুরুর জল্পনা বাড়ছে। তবে বেশিরভাগ রাজ্যই লকডাউন বাড়াচ্ছে। এবারের বিধিনিষেধের নিয়মটাও একই থাকছে। তবে সামান্য দু একটা নির্দেশে বদল এসেছে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোন যাবে না। বাজার, মিষ্টির দোকান, শাড়ি, গয়নার দোকান যে রকম নিয়ম মেনে খুলছিল সে রকমই খুলবে। শুধু জুটমিলে কর্মীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্মাণ কাজে যুক্ত শ্রমিকদের টিকা নেওয়া হয়ে গেলে তাঁরা কাজ করতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমরা একে লকডাউন বলছি না। আমরা বলছি বিধিনিষেধ। এর আগে যা যা বিধিনিষেধ ছিল, সেগুলিই বজায় থাকবে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কেউ বাইরে বেরোবেন না। বাজার, মিষ্টির দোকান, শাড়ি, গয়নার দোকান যে রকম নিয়ম মেনে খুলছিল সে রকমই খুলবে। শুধু জুটমিলে কর্মীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্মাণ কাজে যুক্ত শ্রমিকদের টিকা নেওয়া হয়ে গেলে তাঁরা কাজ করতে পারবেন।’’