কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে কোন রকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। অক্সিজেন নিয়ে রাজ্য ও স্থানীয় স্তরের কোনরকম অনৈতিক ও বেআইনি কাজ হলেই তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিল আদালত। দেশে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গকে ‘সুনামি’ আখ্যা দিয়ে শনিবার দিল্লি হাই কোর্ট একটি মামলার পর্যবেক্ষণে জানায়, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। সেই সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটানো হলে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি কর্মী অথবা স্থানীয় প্রশাসনের কোনও কর্তাব্যক্তিকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। প্রসঙ্গত, দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হতে চলেছে। সেখানে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ। নেই পর্যাপ্ত বেড, নেই অক্সিজেন, নেই ওষুধ। বেসামাল অবস্থা হাসপাতালগুলিতে। যদিও বা যেটুকু অক্সিজেন মিলছে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রেই জানা গিয়েছে, অক্সিজেনের ভান্ডার প্রায় শেষ। খুব তাড়াতাড়ি মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানোর জন্য অক্সিজেন চেয়ে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। বলা চলে, কাতর আর্জি জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্তৃপক্ষরা।
অন্যদিকে, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ পণ্য পরিসেবা করের পুরোটাই ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি, অক্সিজেন সরবরাহকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং করোনার ওষুধের আমদানিতেও ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছাড়ের আওতায় রয়েছে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ফ্লো মিটার, রেগুলেটর, কানেক্টর-সহ একাধিক সরঞ্জাম।