রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে শিবসেনা । এই অভিযোগে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে । এদিকে , আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এনসিপিকে সময় দিয়েছিলেন সরকার গড়ার রাজ্যপাল । সেই সময় সীমা শেষ হওয়ার দুঘন্টা আগেই মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে বির্তকে জড়িয়ে গেলেন রাজ্যপাল ভগত সিং কেশিয়ারি । সব পক্ষকে সুযোগ না দিয়ে সাত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্তের জন্য এ বার কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল বিরোধীরা। তাদের মতে, কোনও নিয়ম-নীতি না মেনে সরাসরি ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর আঘাত হেনেছে মোদী সরকার।
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পরই ফেসবুকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি লিখেছেন, ‘এনসিপির শরদ পাওয়রকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন মাহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। তা অতিক্রম হওয়ার আগে কীভাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করলেন তিনি? এটা সংবিধানের হত্যা। ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর তীব্র আঘাত হেনেছে মোদী সরকার। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার নীতি, নিয়ম মানছে না তারা। এর আগে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুরএবং আরও অনেক রাজ্যে বার বার একই ঘটনা ঘটতে দেখেছি আমরা।’’
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা সঞ্জয় নিরপম টুইটারে লেখেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন রাজ্যপাল। উনি নিজেই তো এনসিপিকে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক।’
দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা টুইটারে লেখেন, ‘রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করে কেন্দ্রের এজেন্টের মতো কাজ করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। পারস্পরিক ঝামেলা মিটিয়ে এ বার ওই তিনটি দলের একজোট হয়ে এগিয়ে আসা উচিত।’
কেন্দ্র সরকার এনসিপিকে সরকার গড়ার সুযোগ না দিয়ে সময় সীমা শেষ হওয়ার দুঘন্টা আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেওয়ায় বিরোধীদের সুবিধা হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে । এরফলে মহারাষ্ট্রে নতুন করে বিজেপি বিরোধী জোট আরও বেশি শক্তিশালী হবে । পরবর্তীকালে যা বিজেপির পক্ষে অশনী সংকেত বহন করে আনতে পারে । এদিকে সুপ্রিম কোর্টেও বিরোধীদের বলার অনেকটা সুযোগ থাকবে বলে আইনজীবীরা মনে করছেন ।