মহারাষ্ট্রে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিজেপির জোটসঙ্গী শিবসেনা বিজেপি দল ও প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে সমালোচনা করে চলেছে । ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরের দিনই শিবসেনার মুখপত্র সামনায় বিজেপির ঔদ্ধত্যের তীব্র সমালোচনা করে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল । মানুষ বিজেপি অহংকারে জবাব দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল সামনার সম্পাদকীয়তে । এখন ওই রাজ্যে সরকার গঠন হয়নি । তবে শিবসেনা তাদের দাবিতে বলেছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ তাদেরকে ছাড়তে হবে । আড়াই বছরের জন্য প্রথমে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হবেন । আর বাকি আড়াই বছরের জন্য বিজেপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবেন । এই সমস্যার এখনও সমাধান হয়নি। তার মধ্যে সোমবারের সামনায় মোদী সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনা করা হয়েছে । উৎসবের মরসুমেও দেশের ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতি নিয়ে মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছে তারা। ‘শোলে’ ছবিতে একে হাঙ্গলের সেই বিখ্যাত সংলাপ তুলে ধরে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, ‘ইতনা সন্নাটা কিউঁ হ্যায় ভাই?’
চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে। দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি উৎসবের মরসুমেও বিক্রিবাটা বন্ধ বলে অভিযোগ উঠে এসেছে ব্যবসায়ী মহল থেকে।
এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছে শিবসেনা। সোমবার দলের মুখপত্র ‘সামনা’র একটি প্রতিবেদনে বিজেপির উদ্দেশে ‘শোলে’র ওই বিখ্যাত সংলাপ ছুড়ে দেয় তারা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিনিসপত্রের বিক্রিবাটা ৩০-৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে সর্বত্র। শিল্পক্ষেত্রই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু কল-কারখানা। তাতে বেড়ে গিয়েছে বেকারত্বও।’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি সঞ্চয়ে ভাগ বসানো নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে ‘সামনা’য়। তাতে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঞ্চয়েও ভাগ বসাতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। দীপাবলির বাজারেও চারিদিক নিস্তব্ধ। অথচ অনলাইন বিপণন সংস্থার মাধ্যমে বিদেশি সংস্থাগুলি নিজেদের পকেট ভরছে।’ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তকেও দুষেছে শিবসেনা।