সমীক্ষা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এন আর সি হলে সবচেয়ে চাপের মুখে পড়তে হবে মতুয়া সম্প্রদায়দের

Paramanik Akash
লোকসভা ভোটের পর ঈগলের চোখ এবার এন আর সি তে। নরেন্দ্রমোদী,অমিত শাহ,কিংবা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন  আসামের পির তাদের টার্গেট বাংলা।আর সমীক্ষা মতে পশ্চিমবঙ্গে এন আর সি হলে চাপে পড়তে হত পারে মতুয়া সম্প্রদায়দের।আশঙ্কা করা যাচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্যে এন আর সি হলে বাদ পড়বে প্রায় ৪ কোটি মানুষের নাম , তাদের মধ্যে ৩ কোটি রয়েছেন নামশুদ্র।বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয় বর্গীয় হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন এন আর সি হবেই পশ্চিমবঙ্গে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী ১৯৪৮ এর পরে পূর্ব পাকিস্তান এবং তারপরও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ এদেশে  এসেছেন  তাদের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ নমশুদ্র , তারসঙ্গে জেনারেল কাস্টদের ধরা হলে এই সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়াবে।আসাম বাদে বাকি রাজ্য গুলির ক্ষেত্রে ২০০৩ নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ এর ১৯ শে জুলাইয়ের পর যারা এদেশে এসেছেন তাদের এন আর সি এর তালিকা ভুক্ত করা হবে না।আর তাই হলে পশ্চিমবঙ্গে ৪০ শতাংশ মানুষের নাম বাদ পড়বে।
আপনার ফোনে আরও খবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিতে ক্লিক করুন  WhatsApp
রাজ্যের নমশুদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল বৈরাগ্য মনে করছেন এন আর সি এর কারণে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ।প্রাক্তন সংসদ এবং মতুয়া মহাসংঘের নেত্রী মমতা ঠাকুর বললেন এন আর সি এর প্রভাব গোটা রাজ্যে পড়বে এবং নমশুদ্র দের জীবন নিয়ে তৈরি হবে অনিশ্চয়তা।
যদিও রাজ্যের শাসক শিবির এন আর সি নিয়ে নিজেদের অবস্থান অনড়। লোকসভা ভোটের আগে এন আর সি নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন কোনো অবস্থাতেই বাংলায় এন আর সি হবে না।
এমত পরিস্থতিতে যারা ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসেছেন শুধু তারা নয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছেন তাদের কাছেও পর্যাপ্ত কাগজপত্র নেই।  তাই বাংলায় এন আর সি হলে গৃহযুদ্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞগণ।


Find Out More:

Related Articles: