ওয়েব সিরিজ নিয়ে কি ভাবছেন রাজীব খান্ডেলওয়াল ?
বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে আর সিরিয়ালে দেখা যায় না। তাহলে কি কোন একঘেয়েমি এসেছে ? তথাকথিত সিরিয়াল কি আর টানছে না তাঁকে? ‘রিপোর্টার্স’ করার পর থেকে কোনও সিরিয়ালে দেখা যায়নি রাজীব খান্ডেলওয়ালকে। তবে ‘জজ়বাত’-এ সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ‘রগ রগ মে গঙ্গা’ নামে নিজের একটি ট্রাভেল শো-ও করেছিলেন।
কিন্তু যে ছোট পর্দা তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল, তার প্রতি এত অনীহা কেন? ‘‘ছোট পর্দায় কাজ করতে আমার সমস্যা নেই। ভাল স্ক্রিপ্ট হলে আমি এখনও কাজ করব। তবে বছরের পর বছর ধরে যে গল্পগুলো চলতে থাকে, সেখানে নতুন কিছু খুঁজে পাই না। তাই একঘেয়ে লাগে। হয়তো সেই সিরিয়ালটা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে ব্যর্থ মনে হয়। নতুন কোনও মোটিভেশন থাকে না আর,’’ উত্তর রাজীবের। ‘কহিঁ তো হোগা’ সিরিয়ালটি যখন জনপ্রিয়তার শিখরে, সে সময়ে তা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন রাজীব। আবার ‘লেফট রাইট লেফট’-এর ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটনা। হাসতে হাসতে রাজীব বললেন, ‘‘আমাকে তাই এখন কেউ ডেলিসোপের প্রস্তাব দিতেও ভয় পায়।’’
সম্প্রতি ‘মর্জি’ নামের যে ওয়েব সিরিজে তিনি কাজ করেছেন তার প্রচারে এসে তিনি বললেন ‘‘জানেন, আমার মনে হয় ইদানীং ডেলিসোপগুলো আগের মতো আর জনপ্রিয় নয়। আগে যদি ১০০ জন দেখতেন, এখন ৭০ জন দেখেন। কিন্তু টিআরপি হয় মোট কত জন দেখছেন, তার গড়ের উপরে। তাই কত দর্শক ডেলিসোপ থেকে সরে আসছেন, সেই হিসেব কেউ রাখেন না। নতুন প্রজন্মের ক’জন সিরিয়াল দেখেন বলুন তো?’’
নতুন ছবিতে আবার তাঁকে দেখা যাবে কিনা উত্তরে বলেন ‘‘কথা তো চলছেই। তবে ‘মর্জ়ি’ এখন আমার একমাত্র ফোকাস।’’ ‘আমির’-এর পর রাজীবের আর কোনও ছবি বক্স অফিসে সে ভাবে সাড়া ফেলেনি। আফসোস আছে? মাথা নেড়ে বললেন, ‘‘নাহ, নেই। আমি কোনও ছবিতেই সে ভাবে রোম্যান্টিক চরিত্রে অভিনয় করিনি। যদিও আমার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ‘লাভার বয়’ ইমেজ দিয়ে। প্রথম ছবি ‘আমির’-এ সেটা আমি ভেঙেছি। আসলে নিজেকে কোনও ইমেজে বেঁধে রাখতে চাইনি। ‘আমির’, ‘শয়তান’, ‘টেব্ল নম্বর টোয়েন্টি ওয়ান’, ‘ফিভার’... একটি ছবিতেও আমার চরিত্র রোম্যান্টিক নয়। ভাল কাজ করতে চেয়েছি। এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছি, যেটা করে তৃপ্তি পাব। বাকিটা তো দর্শকের উপরে।’’