রাষ্ট্রপুঞ্জে ইমরানের যুদ্ধের হুমকির পর সীমান্তে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়ল

Biswas Riya

উপত্যকায় কড়াকড়ি যখন একটু একটু করে শিথিল হচ্ছিল তখনি রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণ দিতে গিয়ে কার্যত যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান খান। আর তার জেরে ফের উপত্যকায় শুরু নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েনও করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। তার উপর দু’টি ঘটনায় ছয় জঙ্গি এবং এক সেনা জওয়ানের মৃত্যুতেও উত্তেজনা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ফের নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে।

গত শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণে ইমরান খান কার্যত ভারত-পাক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, ‘‘১৩০ কোটির দেশ ভারতের বাজারকে তোষণ করবে, নাকি নিরপরাধ মানুষকে সাহায্য করবে, সেটা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে ভেবে দেখতে হবে। সেটা না হলে ভালর আশা করতেই পারেন, কিন্তু খারাপের জন্যও তৈরি থাকতে হবে।’’

পাক প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণের পর শুক্রবার রাত থেকেই নতুন করে অশান্তি ছড়াতে শুরু করে উপত্যকায়। একাধিক জায়গায় ইমরান খানের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে মিছিল হয়। কাশ্মীরের স্বাধীনতাও দবি করেন তাঁরা। তার পর শনিবার থেকেই নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আরও বড় আকারে এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল বা বক্ষোভের মতো ঘটনা ঘটতে পারে— এই আশঙ্কায় নতুন করে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে বলে সেনার এক পদস্থ কর্তার সূত্রে খবর। কার্ফু জারির পাশাপাশি মোবাইল, ইন্টারনেট এবং ল্যান্ড ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যানবাহন চলাচলের উপরেও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে নতুন করে। শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীকে মাইকে এই বিষয়ে ঘোষণা করতেও দেখা গিয়েছে।

এর মধ্যেই শনিবার উপত্যকায় ৩ জায়গায় জঙ্গি হানা এবং এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু আরও উদ্বেগে ফেলেছে সেনা ও গোয়েন্দা কর্তাদের। গান্ডেরবালে হানায় তিন জঙ্গি এবং বাতোরে তিন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা জওয়ানরা। এক সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয় বাতোরের ঘটনায়। ফলে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার পর থেকে  কার্যত এই প্রথম উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গি কার্যকলাপের প্রমাণ পেলেন গোয়েন্দারা।


Find Out More:

Related Articles: