প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করা হল গুজরাটে । জন্মদিন পালন করার জন্য সর্দার সরোবর বাঁধে অনুষ্ঠান এই অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো হয় , ফলে মধ্যপ্রদেশের ১৯২ টি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করলেন পরিবেশ কর্মী মেধা পাটকর । বুধবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাঁধের জলের উচ্চতা বাড়িয়ে দেওয়ায় মধ্যপ্রদেশের তিন জেলার ১৯২টি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে। মোদীর জন্মদিন পালনের জন্য বেআইনি ভাবে ইচ্ছাকৃত জলের উচ্চতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ মেধার।
কিন্তু মোদীর জন্মদিন পালনের আড়ম্বর নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সমাজকর্মী মেধা। তিনি বলেন,‘‘উৎসবের মেজাজে মোদীর জন্মদিন পালন হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের এখনও পুনর্বাসন বাকি। ১৭ সেপ্টেম্বর মোদীর জন্মদিন বলেই এই সময় বাঁধে (সর্দার সরোবর ড্যাম) জল আটকে উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে।’’
গুজরাতে বিজেপি শাসিত বিজয় রূপানি সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মেধা বলেন,‘‘রুপানি সরকার আগে জানিয়েছিল ১৫ অক্টোবর বাঁধ পরিপূর্ণ হবে। তার পর নতুন তারিখ ঘোষণা করে ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এখন মোদীর জন্মদিনের ঠিক আগেই বাঁধের জল পরিপূর্ণ। এতেই স্পষ্ট যে ওঁদের কাছে সংবিধানের কোনও অর্থ নেই। হাজার হাজার মানুষ ডুবে যাচ্ছে, অথচ শুধুমাত্র এক জনের জন্য বাঁধে জল পূর্ণ করে রাখা হল।”
মেধার অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। গুজরাত সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য ১৮৫৭ কোটি টাকা পাবে মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তাতে গুরুত্বই দেননি।
গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নর্মদা নদীতে একাধিক বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হয় স্বাধীনতার পরে পরেই। সমীক্ষা, গবেষণার পর ১৯৬১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।