ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনের পথে ব্যাঙ্ক অফিসার ও কর্মী সংগঠনগুলি ।

Paramanik Akash
 ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনের পথে ব্যাঙ্ক অফিসার ও কর্মী সংগঠনগুলি । কেন্দ্রের এই জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে
দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিল ব্যাঙ্ক অফিসার্স ইউনিয়ন। ধর্মঘট সর্বাত্মক হওয়ার সম্ভাবনার কারণ, সারা দেশে ব্যাঙ্ক অফিসারদের ৯টি সংগঠনের মধ্যে চারটি বড় সংগঠনই এই ধর্মঘটে শামিল হবে বলে জানিয়েছে। এ মাসের ২৬ এবং ২৭ তারিখ ওই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক অফিসার্স ইউনিয়ন।
২৬ ও ২৭ তারিখে বন্ধ ডাকার কারণে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদেরকে সমস্যায় পড়তে হবে ।কারণ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ধর্মঘটের পর ২৮ সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ শনিবার হওয়ায় ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। পর দিন রবিবার। অর্থাৎ ৩০ তারিখের আগে ব্যাঙ্ক খুলবে না। টানা চার দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় টাকা মিলবে না এটিএম গুলিতেও।
ধর্মঘটে শামিল অন্যতম সংগঠন অল ইণ্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক সমীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। ব্যাঙ্ককর্মীদের স্বার্থ বিরোধী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি আমরা।” তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে যতই আশ্বাস দেওয়া হোক না কেন যে সংযুক্তিকরণের জন্য কেউ ছাঁটাই হবেন না, আদতে তা ভাঁওতা এবং অবাস্তব। আমাদের আশঙ্কা ঘুরপথে কর্মী কমানো হবে।’’
ধর্মঘটী সংগঠনগুলির তরফে অভিযোগ, এর আগে স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে কয়েকটি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের পর দেখা গিয়েছে, প্রায় জোর করে কর্মীদের একাংশকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই নতুন নিয়োগ প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমীরবাবু ওই প্রসঙ্গেই বলেন, ‘‘সরাসরি ছাঁটাই না করে ঘুরপথেও এ ভাবে ছাঁটাই করা হতে পারে।”
সংযুক্তিকরণের পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক কর্মীদের বেতনের পুণর্বিন্যাস এবং কাজের সময় কমানোর দাবিও রয়েছে। এক ব্যাঙ্ক কর্মী বলেন, ‘‘এখন আমাদের অফিসে ঢোকার সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু বেরনোর কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। কর্মী কমছে। কাজের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।”


Find Out More:

26

Related Articles: