জঙ্গি তকমা দিতে নতুন আইন
এতদিন শুধুমাত্র কোন জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যেত। কিন্তু জঙ্গি সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিকেও সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) সংশোধনী এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদে সেই বিল পাশ হওয়ার এক মাসের মাথায় আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জইশ ই মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার, লস্কর ই তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সইদ, ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের মাথা দাউদ ইব্রাহিম, লস্কর ই তইবার কমান্ডার জাকিউর রহমান লকভিকে ‘ইন্ডিভিজুয়্যাল টেররিস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের মতে ঐ ৪ জন একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কাজের প্রচার, ধর্মীয় বিভেদ ছড়ানো, জঙ্গি নিয়োগেও যুক্ত রয়েছে তারা। তাই তাদের আজ সংশোধিত আইনের ধারায় জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে হাফিজ সইদ ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলায় মূল অভিযুক্ত। মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে কন্দহর কাণ্ড, পুলওয়ামা বিস্ফোরণ-সহ নানা মামলা রয়েছে। লকভি মুম্বই হামলা এবং দাউদ ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রমাণের ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপরে অন্য দেশে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়াও তার বিষয়সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সংশোধিত ইউএপিএ-তে অবশ্য সে ধরনের কোনও শর্ত নেই। বিরোধীদের আশঙ্কা এই আইন এর অপব্যাবহার হতে পারে। মূলত বিরোধী নেতাদের বিরুধ্যে এটির অপব্যাবহার হতে পারে।
অন্যদিকে সরকার যুক্তি দেখিয়েছে কোনও একটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই তাদের সদস্যেরা আত্মগোপন করে। পরে ফের একটি নতুন নামে সংগঠন খুলে ফেলে। তাই সংগঠনের সঙ্গেই সন্ত্রাসমূলক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করতে ওই আইনে সংশোধন করা হয়েছে। যাতে তাদের গ্রেফতার করতে সুবিধে হয়।