বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতার সঙ্গে ললিত মোদীর ঘনিষ্ঠ ছবি এবং ক্যাপশান দেখে প্রায় সমস্বরে এই প্রশ্নটাই করে বসেছিলেন নেটিজেনরা। সুস্মিতার সঙ্গে বেশকিছু ছবি দিয়ে প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত মোদী লেখেন, 'আমার অর্ধাঙ্গিনী'। আচমকা এমন খবরে স্তম্ভিত নেটপাড়া। সকলেরই প্রশ্ন শেষপর্যন্ত ললিত মোদীকে বিয়ে করলেন সুস্মিতা? পরে অবশ্য বিষয়টি খোলসা করেন ললিত মোদী নিজেই। ফের লেখেন তাঁরা বিয়ে করেননি। নতুন জীবনের শুরু করেছেন মাত্র। বৃহস্পতিবার বেশকিছু ছবির সঙ্গে লোলিত মোদী টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, পরিবারের সঙ্গে গ্লোবাল ট্যুর এবং মলদ্বীপ ঘুরে সবেমাত্র লন্ডনে ফিরেছি। সুস্মিতা, আমার অর্ধাঙ্গিনী। অবশেষে নতুন জীবনের শুরু। ললিত মোদীর এই পোস্টের পরই তাঁর সঙ্গে সুস্মিতার বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য ললিত স্পষ্ট করেন, তাঁরা বিয়ে করেননি, শুধু ডেটিং করছেন। তবে বিয়েও একদিন হবে।
কথায় বলে, প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। কে কখন কার প্রেমে মজবেন, তা কে বলতে পারে। প্রেমের পথে কোনও কিছুই যে বাধা হতে পারে না, তাই-ই যেন শেখালেন বঙ্গতনয়া। সুস্মিতা সেনকে বরাবরই দৃঢ়, আত্মনির্ভর, স্বাধীন নারী হিসেবে চিনেছেন তাঁর অনুগামীরা। ১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট মাথায় ওঠে ভবানীপুরের মেয়ের। তার পর বলিউডে অভিষেক। প্রভাবশালীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। তিন বার বিয়ের পিড়িতে বসতে যাচ্ছিলেন বলে। শেষমেশ আর হয়নি অবশ্য। তবে তাতে মা হওয়ার সাধ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখতে নারাজ ছিলেন তিনি। তাই একাই কন্যা সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। এক বার নয়, দু’বার। বহু বার তিনি নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। হয়তো শেষ পর্যন্ত মনের মিল হয়নি। তাই ভেঙেও গিয়েছে। কিন্তু নিজের মেয়েদের নিয়ে চুটিয়ে জীবন উপভোগ করেন সুস্মিতা। বহু বার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আনন্দে থাকার জন্য অন্য কোনও ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নন তিনি। অনেকে আবার মনে করেন, তিনি এতটাই আত্মনির্ভর যে কোনও সম্পর্কের সে ভাবে প্রয়োজন কখনওই পড়েনি বিশ্বসুন্দরীর।