রণবীর আলিয়ার বিয়ের উৎসবের রেশ যেন এখনও কাটেনি এখনও। তার মধ্যেই নবদম্পতিকে একসঙ্গে দেখে বেজায় খুশি অনুরাগীরা। কেউ মনে করালেন বিয়ের অনুষ্ঠানে জুতো চুরির কথা। কারও আবার প্রশ্ন— ‘আলিয়া দইভাত খেতে ভালবাসেন, সে কথা খেয়াল আছে তো রণবীরের?’ কেউ কেউ সটান আবদার করেছেন— ‘ইশ, যদি ‘কারপুল’-এর ব্যবস্থা থাকত, গাড়িতে উঠে বিয়ের গল্প শোনা যেত!’ আসলে বিয়ের পর এই প্রথম একসঙ্গে শ্যুটিংয়ে রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কালো টিশার্ট-পাজামায়।
অন্যদিকে, বিতর্কের মুখে রণবীর সিংয়ের 'জয়েশভাই জোরদার'। ছবিতে কন্যাসন্তান বাঁচাতে নিজের বাবার বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছেন রণবীর সিং। ট্রেলারে রয়েছে ইউএসজি-র মাধ্যমে লিঙ্গ নির্ধারণের দৃশ্য। কেন এমন বেআইনি কাজ জায়গা করে নেবে ছবিতে? তার বিরুদ্ধেই দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। পরিচালক দিব্যাং ঠক্করের প্রথম ছবি ‘জয়েশভাই জোরদার’। ছবিটি তৈরি করা হয়েছে কন্যাভ্রূণ হত্যার প্রতিবাদে। কিন্তু সেখানেই দেখা যাচ্ছে যে অবৈধভাবে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করছে একটি পরিবার। কেন ছবিতে অবৈধ কাজের প্রচার করা হচ্ছে? এরই প্রতিবাদে 'ইউথ এগেনস্ট ক্রাইম' নামক একটি এনজিও দিল্লি হাইকোর্টে এই ছবির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে। এই জনস্বার্থ মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘী এবং বিচারপতি নবীন চাওলার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, USG ক্লিনিকের ওই দৃশ্যটিতে প্রকাশ্যে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ দেখানো হচ্ছে কোনও রকম সেন্সর ছাড়াই। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং পিএনডিটি আইন অনুযায়ী এ কাজ অবৈধ। তাই এই জনস্বার্থ মামলা। ইতিমধ্যেই CBFC-এর তরফ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে 'জয়েশভাই জোরদার'। সেখানে বাদ পড়েনি কোনও দৃশ্যই।