নতুন লুকে কৃষ্ণকলিকে দেখেছেন কি ?
তিয়াসা রায়, ওরফে কৃষ্ণকলি কোনদিন ভাবতেই পারেননি যে যা ছিল শখের জিনিস তাই একদিন বাস্তব জীবনে দরকার পড়বে। নেহাৎই শখের বশে অভিনয়ে আসার আগে স্বামীর কাছে বাইক শিখেছিলেন। সেই শখই কাজে লেগে গেল।
ভয় তো তিনি পাননি উপরন্তু বললেন “না। বরং বাইক চালাতে হবে শুনে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছিল। বাইক চালাতে পারি। কিন্তু সুবান আমাকে কোনও দিন বুলেট চালাতে দিত না। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল বুলেট চালাব। ইচ্ছেপূরণ হল।”
বাইক চালিয়ে ঠিকঠাকভাবে দৃশ্য শুট করা সহজ নয়। সিনেমাটোগ্রাফারের নির্দেশ মেনে ফোকাসের নির্দিষ্ট পজিশন অনুযায়ী বাইক চালানোর রাস্তাটা ঠিক করে নিতে হয়। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে তিয়াসা বাইক চালিয়ে ক্যামেরার পাশ থেকে বেঁকে গিয়ে বাইক দাঁড় করাচ্ছেন নিখিলের গাড়ির পাশে। এতসব নিয়ম মেনে ঠিকঠাক শট দিতে পারলেন তিনি? তিয়াসা উচ্ছ্বসিত, “সবাই ভাবছিল পারব কিনা। কিন্তু শট দেখে সবাই খুশি হয়ে গিয়েছে।”
আর যিনি শিখিয়েছিলেন তাঁকে কী বললেন তিয়াসা? তাঁর স্বরে তৃপ্তি, “সুবানকে বলেছি, ‘ভাগ্যিস শিখিয়েছিলে।’ জানেন, শুটের সময় একটা শটও এনজি (নো গুড) হয়নি।”
এতদিন ‘কৃষ্ণকলি’র শ্যামাকে দেখা গিয়েছে ঘরোয়া এক কালো মেয়ে হিসেবে। কিন্তু হঠাৎ ভোল বদলে এক অত্যন্ত সপ্রতিভ চরিত্রে তিনি এবং ত্বকের টোনও পাল্টে গিয়েছে।তাহলে কি তিয়াসা একই মেয়ের চরিত্র করছেন নাকি এক সম্পূর্ণ নতুন চরিত্রে এবার দেখা যাবে তাঁকে?
তিয়াসা জানালেন, “কালো মানুষ হঠাৎ করে কখনও ফরসা হতে পারে না। এই চরিত্রটার স্কিন টোন আর আমার রিয়েল লাইফের স্কিন টোন এক। শ্যামার জন্য আমাকে মেকআপ করে কালো হতে হয়। একটা টুইস্ট আছে। দেখা যাক কী হয়।”
আগে দেখা গিয়েছে, শ্যামা মঞ্চে গান গাইতে গাইতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারণ তাকে চক্রান্ত করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আর অসুস্থ শ্যামাকে গাড়িতে করে নিখিল (নীল ভট্টাচার্য) নিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালে। রাস্তায় আর এক চক্রান্তের শিকার হয় তারা। নিখিলের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। শ্যামা পড়ে যায় রাস্তার পাশে পুকুরের জলে। কিন্তু তারপর শ্যামাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
কালো মেয়ের স্কিন টোন বদলে যাওয়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠছে নানান মন্তব্য। কেউ বিদ্রুপ করছেন, কেউ বা তিয়াসার নতুন লুকে মুগ্ধ। কিন্তু কেউই অনুমান করতে পারছেন না ঠিক কী হতে চলেছে পরবর্তী গল্প। কী ভাবছেন তিয়াসা?
মুচকি হেসে শ্যামা বলছেন, “কালো মেয়ে শ্যামা কী করে ফরসা হয়ে গেল? এই প্রশ্ন সবার মনে। আমি যখন প্রথম শুনেছিলাম তখন আমার মনেও একই প্রশ্ন এসেছিল। পরে ক্লিয়ার হয়। আপনাদেরও একটু ধৈর্য ধরে থাকতে হবে আসল টুইস্টটার জন্য।”