তথাকথিত ধারা নিয়ে কি বললেন তাপসী পান্নু ?
‘থাপ্পড়’ এর চরিত্রের সাথে মিল নিয়ে তিনি মনে করেন ‘ যখন ‘বেবি’, ‘নাম শাবানা’র মতো ছবিতে কাজ করেছিলাম, তখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ছোটবেলায় মারকুটে ছিলাম কি না। আমি বলেছিলাম, স্কুল-কলেজে কাউকে থাপ্পড় পর্যন্ত মারিনি। অনুভব স্যরের (সিংহ) সঙ্গে যখন ‘মুল্ক’ করেছিলাম, তখন থেকেই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের উপরে একটি ছবি করব, মাথায় ঘুরছিল। কিন্তু কোনও গল্প বা প্লট মাথায় ছিল না। স্যর যখন ‘আর্টিকল ফিফটিন’-এর শুটিং করছিলেন, তখন শুধু ওয়ান-লাইনার আইডিয়া ওঁর মাথায় ছিল। ছবি মুক্তির পরে পরেই ‘থাপ্পড়’-এর কাজে লেগে যান অনুভব স্যর’।
তথাকথিত ধারা নিয়ে বক্তব্য ‘মা তো ছোটবেলায় আমাকে শেখাতেন, ‘মেয়েরা চুপ করে থাকলে সংসারে শান্তি থাকে।’ পাল্টা প্রশ্ন করতেও মা বারণ করতেন। তবে মায়ের ওই কথাগুলো মানিনি। মানলে আজ এখানে পৌঁছতে পারতাম না। আমি উল্টে প্রশ্ন করতাম, চুপ করে থাকব কেন? পরিবারে আমি ডার্ক হর্স ছিলাম’।
নিজের পেসেন্স নিয়ে মনে করেন ‘আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। আগে আমি অল্পতেই রেগে যেতাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক পরিণত হয়েছি। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার আলাদা কোনও সাপোর্ট সিস্টেম ছিল না’।
‘যাঁরা নিজেদের কাজ ঠিক করে করেন না, তাঁদের উপরে খুব রেগে যাই। কোনও কাজকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়’।
‘যে সম্পর্কে সম্মান নেই, সেখানে ভালবাসাও থাকে না। আমার মতে সম্পর্কের ভিত সম্মান। ভালবাসা একবার গেলে আবার আসে। কিন্তু হারানো সম্মান ফেরত আসে না। আমার প্রতিভার বিচারে যেন আমাকে কাজ দেওয়া হয়। আমার লিঙ্গ পরিচিতির জন্য যেন আমার কাছ থেকে কাজ বা অন্য কিছু ছিনিয়ে নেওয়া না হয়’।
পারিশ্রমিক নিয়ে বললেন ‘দর্শকের সত্তর শতাংশ এখনও অবধি নায়ককে দেখতেই হলে যান। এই কারণে পুরুষপ্রধান যে ছবিগুলি তৈরি হয়, সেগুলো বেশি ব্যবসা করে। অবশ্য আমি যে সব সফল নারীকেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করেছি, তার মুনাফা আমাকে দেওয়া হয়েছে’।
বায়োপিক নিয়ে বললেন ‘‘রশ্মি রকেট’-এ স্প্রিন্টারের চরিত্র করছি। তার জন্য ট্রেনিং চলছে। ডায়েট, ফিজ়িকাল ট্রেনিং, জিম, ওয়র্কআউট সবই করছি। তিন মাস এখন এই রুটিন। এর পরে ‘শাবাশ মিঠু’র শুটিং শুরু করব। ছবির প্রথম পোস্টার দেখে মিতালি (রাজ) খুব খুশি হয়েছিলেন। আশা করি, ওঁকে নিরাশ করব না’।
সমালোচনাকে তিনি পাত্তা দেননা। জানালেন ‘এ সব ভেবে ব্লাড প্রেশার বাড়াই না। আমার গুটিকয়েক কাছের মানুষ আছেন। তাঁদের ছাড়া আমি কাউকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দিই না। তির্যক মন্তব্য করে আমাকে রাগিয়ে দেওয়া অতটা সহজ নয়’।