
এ এক অন্য লকডাউন!
করোনা যুদ্ধে জিততে আমাদের লকডাউন ভীষণ প্রয়োজন। দেশে এখন তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। আর করোনা যোদ্ধারা প্রতি মুহূর্তে লড়াই চালাচ্ছে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে। গোটা দেশ একসঙ্গে এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছে। তবে ঘরে থেকে, গৃহবন্দী থেকে। কারণ, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গেলে ঘরের মধ্যে থেকেই লড়াই চালাতে হবে। মানতে হবে লকডাউনের সমস্ত নিয়ম। মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংও। তবে যাঁরা চাকুরিজীবী, যাঁরা ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’ করছেন তাঁদের কিন্তু রয়েছে এক অন্য সমস্যা, অন্য লকডাউনও বটে। একদিকে যেমন পরিবারকে সময় দিতে পারছেন, তেমনি অফিসের ডেডলাইনও আছে এই লকডাউনেই। যতই তা ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’ হোক না কেন। আর সেই ছবি ফুটে উঠেছে এক MNC-তে উচ্চপদে কর্মরত স্বাতী খান্নার কলমে। এটিকে একটি কবিতা হিসাবেই পড়া উচিত। কবিতার নাম – ‘এ এক অন্য লকডাউন!’
এ কেমন লকডাউন ?
যেখানে সবই লক
প্রত্যেক কথায় ডেডলাইন আর ডেডলাইন
সকালে ওঠার ডেডলাইন
ওঠার পর অফিসের ভিডিয়ো কলের ডেডলাইন
ব্রেকফার্স্ট তৈরির ডেডলাইন
আবার তৈরি করে খাওয়ার ডেডলাইন
স্নানের ডেডলাইন
স্নান সেরে লাঞ্চের ডেডলাইন
আবার অফিসের কাজে বসার ডেডলাইন!
একদিকে কাজ কেউ দিয়েই যাচ্ছে
আর আমি আছি কি না খোঁজ নিচ্ছে
ডেডলাইনের তারে ছটপট অবস্থা
এটা কেমন লকডাউন ?
যে আমাকে প্রত্যেক দিন টুকরো করছে
আর মেশিনে পরিণত করছে
আর অন্যদিকে দেখো
সেল্ফ কোয়ারান্টিনের নামে
গাছ-গাছালির সঙ্গে
সম্পর্ক তৈরি করে যাচ্ছে
করোনা তোমায় সমাজ মনে রাখবে
কয়েকজনকে কাজে লাগিয়েছো
আর কয়েকজন নিজেই কাজ হয়ে গেছে!