করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের পথে কলকাতা

Biswas Riya

কার্যত লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা সহ রাজ্যের অনান্য পুরো শহরগুলি। নবান্ন সুত্রে খবর পাওয়া গেছে যে কেন্দ্র থেকে এমনই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত রাজ্যসরকারের তরফ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা হয়নি তবুও এই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।

 

করোনা সংক্রমণের হিসাবে  পশ্চিমবঙ্গে তথা কলকাতার পরিস্থিতি অন্য কয়েকটি রাজ্যের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভাল। কিন্তু নাগেরবাজার এলাকার এক প্রৌঢ় সাম্প্রতিক কালে বিদেশযাত্রা না করা সত্ত্বেও যে ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেশনে, তাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন। প্রশাসন এখনও সে রকম কিছু ঘোষণা করেনি। কিন্তু পরিস্থিতি সে দিকে গড়িয়ে যাক, এমনটাও প্রশাসন চাইছে না। সুতরাং সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব পুর শহরকে লক ডাউন করে দেওয়ার পথে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। সোমবার বিকেল ৪টে থেকে অত্যাবশ্যক এবং আপৎকালীন বিষয় ছাড়া যাবতীয় প্রকাশ্য কার্যকলাপ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে রাজ্যের পুর শহরগুলিতে।

 

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেই এই লক ডাউনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নবান্ন সেই প্রস্তাব বিবেচনা করছে। এই প্রস্তাব মেনে নিতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই বলেও নবান্ন সূত্রের খবর। তাই আজই লক ডাউনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়তে পারে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা ঘোষণা করতে পারে বলে খবর।

 

আজ অর্থাৎ রবিবার সকাল ৭টা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আহ্বানে ‘জনতা কার্ফু’ চলছে গোটা দেশে। অত্যাবশ্যক এবং আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা ছাড়া অন্য সকলকে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। রাত ৯টার পর থেকে ‘জনতা কার্ফু’র মেয়াদ শেষ হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সোমবার বিকেল থেকে যদি প্রশাসনের নির্দেশে রাজ্যের সব পুর শহরে বাধ্যতামূলক লকডাউন কার্যকরী হয়, তা হলে রাজ্যের রাজধানী কলকাতা, সবক’টি জেলা সদর, মহকুমা শহর, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্লক স্তরের বা তার চেয়ে ছোট শহরও পুরোপুরি বিধিনিষেধের আওতায় চলে আসবে।

 

লকডাউনের সময়ে পুরোপুরি ঘরে থাকার জন্য  নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যক যে সব সামগ্রী দরকার, তা সংগ্রহ করে নেওয়ার জন্য সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অবশ্য সময় পাবেন পুর শহরগুলির বাসিন্দারা। তবে লকডাউনের সময়ে জনতা যাতে বিপদে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল, চিকিৎসা পরিকাঠামো, ওষুধের দোকান-সহ নানা আপৎকালীন বন্দোবস্ত খোলা রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

 

Find Out More:

Related Articles: