নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন : অসমে মন্ত্রীকে তাড়া করল বিক্ষোভকারীরা , আইন প্রত্যাহার না করা হলে সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করবে হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের , ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের আরেক মন্ত্রী
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যে আত্মবিশ্বাস দেখা গিয়েছিল তা এখন উড়ে যাবার জোগাড় হয়েছে । বিশেষ করে অসমের আন্দোলন মনে করা হচ্ছিল স্তিমিত হতে চলেছে । কিন্ত তা আরও তীব্র হচ্ছে । জানা গেছে , সোমবার অসমের সরকারি কর্মচারিরা হরতাল করবেন । কাজ করবেন না । অফিসে আসবেন না । এই আইন বাতিল না করা হলে আরও তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে কর্মচারি পরিষদ জানিয়েছে । এরপর রাজ্য সরকারের সঙ্গে সব রকম অসহযোগিতা করার পরিকল্পনা নিতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা । শুধু তাই নয় অসমের সেচমন্ত্রী বিজেপি নেতা রণজিৎ দত্তের গাড়ি ঘিরে কালো পতাকা দেখানো হয় । বিক্ষোভকারী মন্ত্রীকে তাড়া করে নিয়ে যায় বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে ।
অন্যদিকে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করতে অনড় অসমের বিজেপি সরকার। আর প্রতিবাদের সামনের সারিতে থাকা অল অসম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ( আসু) বিরোধিতায় অটল। তাদের হুঁশিয়ারি, আরও বৃহত্তর আন্দোলনের। এমন অবস্থায় কর্মচারি পরিষদের কর্মবিরতির বার্তায় প্রশাসনিক মহলে ছড়িয়েছে আলোড়ন। এতে সরকারি কাজ প্রবল ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা। খবর এসেছে রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রণজিৎ দত্তের গাড়ি ঘিরে কালো পতাকা প্রদর্শন করা হয়। তাঁর গাড়ির পিছনে অনেকে তাড়া করেন।
কোনওরকমে মন্ত্রী-কে সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তা রক্ষীরা। বিল পাস ও আইনে পরিণত হওয়ার মাঝে টানা ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রক্তাক্ত আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ অসম। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালকে এবারপোর্টে ও বাড়িতে ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। একাধিক বিজেপি ও সরকারের শরিক অগপ নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী পালিয়ে থানায় আশ্রয় নেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি রণজিৎ দাসের বাড়িও ঘেরাও হয়।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীদের হামলার মুখে পড়েন গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনার। এর ফলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির যুক্তি দিয়ে মেঘালয় সফর বাতিল করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।