আইনজীবীদের হাতে মার খাওয়ার পর যতই দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভ দেখাক না কেন , তাতে আইনজীবীদের উপর কোনো চাপ নেই । আজ দিল্লি আদালত এক নির্দেশে বলেছে , আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ ।
এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশের ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আদালত এ দিন সেই আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দেয়, ৩ নভেম্বর দেওয়া নির্দেশের ব্যাখ্যার কোনও প্রয়োজন নেই। ফলে এই মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল দিল্লি পুলিশ।
গত শনিবার তিস হাজারি আদালতে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনা বিরাট আকার ধারণ করে। নিরাপত্তা ও সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন পুলিশকর্মীরা। রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে ধর্নায় বসেন তাঁরা। সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে ১১ ঘণ্টা পর ধর্না তুলে নেন তাঁরা। কিন্তু আইনজীবীদের দফায় দফায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির পরিবেশ। আইনজীবীরা এ দিনও কাজে যোগ না দেওয়ায় রাজধানীর নিম্ন আদালতগুলির কাজ কার্যত শিকেয় ওঠে। পাতিয়ালা হাউস ও সাকেত জেলা আদালতের প্রবেশদ্বার আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। এই বিক্ষোভ চলাকালীনই রোহিণী জেলা আদালতে এক আইনজীবী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আরও এক আইনজীবী আদালতের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
তবে বৃহস্পতিবার থেকেই সমস্ত আইনজীবী কাজে যোগ দেবেন, এ দিন এমনই আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লির বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন মিশ্র। সেই সঙ্গে এটাও বলেন, সোমবার সাকেত আদালতে পুলিশকে চড় মারার ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।