পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষি কাঁদছেন , পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ কাঁদছে ; মোদীজি এই আচ্ছে দিন কী দেশের মানুষকে আপনি দিতে চেয়েছিলেন ?
কয়েক দিন আগে পেঁয়াজের দাম না পেয়ে চাষি হাউ হাউ করে কাঁদছেন। কী ভাবে খেতমজুরদের পারিশ্রমিক দেবেন, পরিবারকেই বা খাওয়াবেন কী, কাঁদতে কাঁদতে সেই প্রশ্নই বার বার শোনা যাচ্ছিল মহারাষ্ট্রের ওই চাষির ভিডিও ভাইরাল করেছিলেন কংগ্রেসের এক নেতা । কারণ ওই চাষীকে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়েছে মাত্র ৮ টাকায় । অথচ সাধারণ মানুষকে তা কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায় ! কেন ? কারা লাভ করছে ? এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে । কেন পেঁয়াজের দাম খুচরো বাজারে এত বেশি ?
চাষিরা দাম পাবে না , সাধারণ মানুষ কম দামে পাবে না । এর নাম কী আচ্ছে দিন । এই আচ্ছে দিন কী মোদী চেয়েছিলেন ? ফড়েরা কেন লাভ পাবে ? কাদের মোদী সরকার কাজ করছেন ? সাধারণ মানুষ নাকি , গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর স্বার্থে।
এবার গর্জে উঠতে হবে প্রশ্ন তুলতে হবে কেন পেঁয়াজের দাম এত বেশি। কাদের স্বার্থে দাম বাড়ানো হয়েছে । কারা আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসার পর মানুষের উপর বোঝা চাফিয়ে দিয়েছে ।
চাষির কাছ থেকে বিক্রি হওয়ার পর ওই পেঁয়াজ কয়েক হাত ঘুরে পাইকারি বাজারে আসে। সেই বাজারে পেঁয়াজ কত’য় বিকোচ্ছে? কেজি প্রতি কোথাও ৬০, কোথাও বা ৬৫ টাকা। অর্থাৎ চাষি এবং পাইকার দু’জনের মাঝে যে সব হাত ঘুরছে পেঁয়াজ, সেখানেই প্রায় ৫০-৫৫ টাকার ফারাক তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর সেই পেঁয়াজ যখন খুচরো বাজার থেকে ক্রেতা কিনছেন, তাঁকে দিতে হচ্ছে কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা! অর্থাৎ চাষি এবং খুচরো ক্রেতার মধ্যে পেঁয়াজ বেচা-কেনার দামের ফারাকটা কোথাও ১০০ টাকা, কোথাও বা তার চেয়েও বেশি! চাষির হাত থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বেশ কয়েক হাত ঘুরে আসে। কিন্তু পাইকারি ও খুচরো বাজারের মধ্যে আর তেমন কোনও ‘হাত’ নেই। মূলত এক হাতেই চলে। তাই পাইকারি বাজার থেকে ৬০-৬৫তে কেনা পেঁয়াজ ১২০তে বিক্রি হলে, বাকি ৬০ টাকা কার পকেটে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ৬০ টাকার জিনিস কিনে কেউ যদি তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করেন, তা হলে তো ১০০ শতাংশ লাভ! খুচরো বিক্রেতা প্রায় ১০০ শতাংশ লাভ করছেন, আর চাষি বসে বসে কাঁদছেন!