নস্টালজিক শ্বেতা
প্রয়াত তেজি বচ্চনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে টুইট করেছেন নাতনি শ্বেতা বচ্চন।পোস্টের সাথে দিয়েছেন সাদা কালো নস্টালজিক ছবি, যা মন ছুঁয়ে গেছে সকলের।ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বচ্চন বসে আছেন ঠাকুমার সাথে, ঠাকুমার চোখে রোদচশমা , হাতে ধরা ঠাণ্ডা পানীয়ের গ্লাস।
নস্টালজিকভাবে শ্বেতা শৈশবে ফিরে গিয়েছেন যেখানে সর্বত্রই অনুভব করছেন তাঁর দাদির প্রভাব। তিনি লিখেছেন ‘আমরা যেখানে যেখানে যাই, যাঁদের সঙ্গে খাই এবং যে যে বই পড়ি, সে সবই আমাদের প্রভাবিত করে। গড়ে তোলে একজন মানুষকে। আমাদের দাদি ছিলেন তাঁর ছ’জন নাতিনাতনির কাছে আনন্দের হাট। নানা রকমের বই দেওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমনোর আগে গল্প বলা, সবরকম আনন্দের উপকরণ ছিল দাদির কাছে। দাদি, আজ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে।’
১৯১৪ সালের ১২ অগস্ট তেজি বচ্চনের জন্ম অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাব প্রদেশে, আজকের পাকিস্তানের ফয়জলাবাদে। লাহৌরের কলেজে মনোবিজ্ঞান পড়াতেন তিনি। সেই সময় তাঁর আলাপ ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হরিবংশ রাই বচ্চনের সঙ্গে। ১৯৪১ সালে শুরু দু’জনের দাম্পত্য। বিয়ের পরে আর অধ্যাপনা নয়। সংসারের পাশাপাশি তিনি নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন থিয়েটারে। শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথ’ নাটকের হিন্দি অনুবাদ করেছিলেন হরিবংশ। সেখানে লেডি ম্যাকবেথের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।
প্রথম সন্তান অমিতাভের জন্ম ১৯৪২ সালে। তাঁর সাত বছর পরে জন্ম ছোট ছেলে অজিতাভের। অমিতাভ-জয়ার দুই সন্তান অভিষেক, শ্বেতা এবং অজিতাভের চার সন্তান নিলীমা, নয়না, নম্রতা ও ভীমের স্নেহের আশ্রয় ছিলেন দাদি তেজি। সংসার, থিয়েটারের পাশাপাশি সামাজিক কর্মী হিসেবেও তাঁর ভূমিকা উজ্জ্বল।