আমরা আশা ছাড়ব না
শুক্রবার রাত ১টা ৪০ মিনিট থেকে শনিবার সকাল ৮টা, এখনও ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চাঁদের কক্ষপথে থাকা অরবিটারের।গোটা দেশের মানুষ সহ উদ্বিগ্ন নাসার বিজ্ঞানীরা। সারারাত তাঁরা দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি।চাঁদের মাটিতে পা রাখার মত ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইসরোতে হাজির ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার ১০০ মিটার দূরত্বে শেষ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রমের থেকে। সব ঠিক থাকলে রাত ১টা ৫৩ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখত ভারতের চন্দ্রযান।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরেও গ্রাউনড স্টেশনে কোন সঙ্কেত পৌছায়নি। এ দিন সকালে মিশন চন্দ্রযান ২ নিয়ে ইসরো থেকে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি বলেছেন যে
লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত আমরা দাঁড়াব না। আমরা আত্মবিশ্বাসী, সফল আমরা হবই। আমাদের কেউ রুখতে পারবে না।
বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু নেই। কাল নতুন ভোর হবে আর আরও উজ্জ্বল হবে। বিজ্ঞানীরা পাথর ভেঙে পথ তৈরির মানুষ।
হয়তো চন্দ্রযানের অভিযান সফল হয়নি, কিন্তু দারুণ হয়েছে। এই পুরো মিশন ঘিরে সারা দেশ ভীষণ উত্তেজিত ছিল। আমি নিজেও সব সময় এর খবর রাখছিলাম।
যা হয়েছে সেটা তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের ফল।
বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি আমি তাঁদের পরিবারকেও স্যালুট জানাচ্ছি।
আমাদের চাঁদ নিয়ে নানা কল্পনা রয়েছে, চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আরও প্রবল হল এতে। আমরা সবাই একসঙ্গে আমাদের বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি।
বাধা নিশ্চয় এসেছে, কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়িনি। যখন কমিউনিকেশন বন্দ হয়ে গেল সকলের মনে একটাই প্রশ্ন জাগল।
প্রতিটা ভারতবাসী আমাদের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্বিত এবং তাঁরা আরও আত্মবিশ্বাসীও হলেন।
চাঁদের পৌঁছনোর জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি আরও প্রবল হয়েছে। সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে।
এই অভিযানের সঙ্গে অনেক মানুষ যুক্ত ছিলেন। বাধা এসেছে হয়তো, কিন্তু আমরা আমাদের রাস্তা থেকে সরব না। আজ হয়তো চাঁদে আমাদের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু আশা হারাব না।
কাল রাত থেকে আপনারা কেউ ঘুমোননি। তাও আমার আপনাদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে হল।