পাঁচ স্টেডিয়াম সংস্কার করবে বিসিসিআই
জানা গিয়েছে, ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens) সংস্কার করতে সবথেকে বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে বিসিসিআই। টাকার অঙ্কটা শুনবেন? ১২৭.৪৭ কোটি টাকা! আর সব স্টেডিয়াম মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা।
কিন্তু হঠাৎ কেন এই সংস্কারের পদক্ষেপ?
জানা গিয়েছে, দিল্লির (Delhi) অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম (Arun Jaitley Stadium) নিয়ে দর্শকদের অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো নয়। এ নিয়ে প্রচুর অভিযোগ শুনতে হয়েছে বোর্ডকে। সমস্যা বিশেষত শৌচালয় সম্পর্কিত। সম্প্রতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি (Border-Gavaskar) অর্থাৎ ভারত (India) বনাম অস্ট্রেলিয়ার (Australia) টেস্ট সিরিজের সময় এই অভিযোগের বিষয়টি সামনে আসে।
একই ধরনের অভিযোগ পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের আগে মুম্বইয়ের (Mumbai) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম (Wankhere Stadium) সংস্কার করা হয়। এর জন্য খরচ হয়েছে ৭৮.৮২ কোটি টাকা। দুই গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু থেকে অভিযোগ ওঠায় আর চুপ করে বসে থাকতে পারল না বিসিসিআই। বিশ্বকাপ দেখতে দর্শক আসবে বিভিন্ন দেশ থেকে। বিদেশিদের কাছে যাতে মুখ না পোড়ে তার জন্য ৫০০ কোটি খরচ করছে তারা। মুম্বই আর দিল্লি ছাড়াও সংস্কার হবে কলকাতা, হায়দরাবাদ (Hyderabad) এবং মোহালি (Mohali) স্টেডিয়াম।
জানা গিয়েছে, দিল্লির জন্য ধার্য হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, কলকাতার জন্য ১২৭.৪৭ কোটি, হায়দরাবাদের জন্য ১১৭.১৭ কোটি এবং মোহালির জন্য ৭৯.৪৬ কোটি টাকা। এও জানা গিয়েছে, এই খরচ অনেক বেড়ে যাবে যদি স্টেডিয়ামের ছাদ সারাই করা হয়। তবে অবাক করার বিষয়, মোহালি কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য ধার্য ভেন্যুর তালিকায় নেই। আপাতত আইপিএলে পঞ্জাব কিংস দলের ঘরের মাঠ এটি।
সূত্রের খবর, বিশ্বকাপের জন্য দেশের ১২টি মাঠকে শর্ট লিস্ট করেছে বিসিসিআই। সেগুলো হল আমেদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, ধরমশালা, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ, ইন্দোর, রাজকোট এবং মুম্বই। ধরে নেওয়া যায়, ফাইনাল ম্যাচ আয়োজিত হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। এবারের বিশ্বকাপে সমস্ত নক আউট এবং লিগ ম্যাচ মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ খেলা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শেষবার ভারতে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। ইডেন গার্ডেন্সে ফাইনালে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ শেষবার হয়েছিল ২০১১ সালে, যদিও সেবার ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাও ছিল আয়োজক দেশ। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।